বাগুইআটির পর বীরভূম! জঙ্গল থেকে উদ্ধার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার গলা কাটা দেহ

মুক্তিপণ জমা দেওয়ার সময় রাত ২'টো পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল। এরই মধ্যে মাঝ রাতে জানতে পারা যায়, চৌপাহারি জঙ্গলে সালাউদ্দিনের মৃতদেহ গলাকাটা অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

বাগুইআটির পর বীরভূম! জঙ্গল থেকে উদ্ধার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার গলা কাটা দেহ

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ! ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াকে গলা কেটে খুনের অভিযোগ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। বাগুইআটির জোড়া খুনের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বীরভূমে এক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার গলাকাটা দেহ উদ্ধার।  

রবিবার ওই ছাত্রের গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয় ইলামবাজারের চৌপাহারি জঙ্গলে। মৃত ছাত্রের নাম সৈয়দ সালাউদ্দিন(১৯)। জানা গিয়েছে, সৈয়দ সালাউদ্দিন আসানসোলের একটি কলেজে মাইনিং নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করছিলেন। তার আসল বাড়ি খয়রাশোল এবং তারা থাকতেন মল্লারপুরের সুমনাপল্লীতে। সপ্তাহে শনিবার এবং রবিবার সে বাড়ি আসত। গত শনিবার বাড়ি না আসার জন্য তার মা তাকে ফোন করলে সে জানিয়েছিল রবিবার আসবে।

 আরও জানা গিয়েছে, শনিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ তার বাবা সৈয়দ আব্দুল মতিনের মোবাইলে ফোন আসে তারই মোবাইল থেকে। ফোনে ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। ঘটনার পর সালাউদ্দিনের বাবা আব্দুল মতিন মল্লারপুর থানায় বিষয়টি জানান এবং সালাউদ্দিনের বন্ধু শেখ সলমনের উপর সন্দেহ করা হয়। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল টাওয়ার লোকেশন দেখে জানতে পারেন ঘটনাটি ইলামবাজারের চৌপাহারি জঙ্গল থেকে ঘটানো হচ্ছে।

মুক্তিপণ জমা দেওয়ার সময় রাত ২'টো পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল। এরই মধ্যে মাঝ রাতে জানতে পারা যায়, চৌপাহারি জঙ্গলে সালাউদ্দিনের মৃতদেহ গলাকাটা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পুলিশ সালাউদ্দিনের বন্ধু সলমনের মোবাইল টাওয়ার লোকেশন দেখে তাকে আটক করতে সক্ষম হয় এবং সে জানায়, তারা জঙ্গলে মদ খাচ্ছিলেন। সেই সময় তিনজন সালাউদ্দিনকে খুন করেন এবং সলমন পালিয়ে যান। সালাউদ্দিনের বন্ধু সালমানের বাড়ি আহমেদপুর।

ঘটনার পর সালাউদ্দিনের মৃতদেহ উদ্ধার করে বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠি জানিয়েছেন, কি ঘটেছিল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত করে দেখার পর পুরো বিষয়টি জানানো হবে।