জল ঢালা প্রদীপ! দিওয়ালির বাজারে নয়া উদ্যোগ ব্যবসায়ীদের

দীপান্বিতা কালীপুজো ও দেওয়ালি উপলক্ষে ঘরে ঘরে সেজে ওঠে আলোর রোশনায়ে, দ্বারে দ্বারে দেওয়া হয় প্রদীপ। এবার সেই প্রদীপই প্রজ্বলিত হবে জলের দ্বারা।

জল ঢালা প্রদীপ! দিওয়ালির বাজারে নয়া উদ্যোগ ব্যবসায়ীদের

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: সামনেই আলোর উৎসব দীপাবলী। আর দীপাবলি মানেই রমরমা বাজার প্রদীপের। তবে প্রদীপ জ্বালাতে প্রয়োজন পড়বে না তেলের। তেলের জায়গায় প্রদীপ জ্বলবে জলের সাহায্যে। এমনই অভিনব প্রদীপের দেখা মিলল আসানসোল বাজারে।

 তেলে নয়, জল দিয়ে প্রজ্বলিত হবে প্রদীপ, হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। তেলের জায়গায় প্রদীপ জ্বলবে জলের সাহায্যে। প্রদীপে তেলের জায়গায় জল দেওয়া মাত্রই হয়ে উঠবে আলোকময়। দীপাবলীর ঐতিহ্য প্রদীপ বিগত কয়েক দশক পর লড়াইয়ের সম্মুখীন করেছে চায়না লাইটকে। নানা রঙের নানা ধরনের চায়না লাইটকে ছাপিয়ে এবছর মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে জল প্রদীপ। এমনই অভিনব প্রদীপের দেখা মিলল আসানসোল বাজার এলাকায়। 

দীপান্বিতা কালীপুজো ও দেওয়ালি উপলক্ষে ঘরে ঘরে সেজে ওঠে আলোর রোশনায়ে, দ্বারে দ্বারে দেওয়া হয় প্রদীপ। এবার সেই প্রদীপই প্রজ্বলিত হবে জলের দ্বারা। এমন অভিনব প্রদীপ বিক্রি হতে দেখা গেল আসানসোলের পাক্কা বাজার, মুন্সিবাজার সহ বেশ কিছু এলাকায়। সাধারণভাবে মাটির পাত্রে সলতে ও তেলের মাধ্যমে প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয়ে থাকে । এবারে দেওয়ালি উপলক্ষে আসানসোল বাজারে এক বিশেষ ধরনের প্রদীপ বিক্রি হতে লক্ষ্য করা গেছে। চায়না লাইটকে পিছনে ফেলে জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি বেড়েছে জল প্রদীপের। ২০ থেকে ৪০ টাকা প্রতি পিস হিসেবে এই জল প্রদীপ বিক্রি হচ্ছে। আসানসোল, দুর্গাপুর সহ জেলার বিভিন্ন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে জল প্রদীপ। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ, সব জায়গাতেই মার্কেট দখল করেছে জল প্রদীপ।


ব্যবসায়ীদের দাবি, আসলে বিজ্ঞানের বিশেষ ফর্মুলা মেনে এই প্রদীপ জ্বালানো হচ্ছে। ফাইবার দিয়ে তৈরি হয়েছে এই প্রদীপ। সলতের মুখটা যেখানে থাকে সেখানে রয়েছে একটি এলইডি ল্যাম্প। প্রদীপের সঙ্গে একটি ব্যাটারি ও সার্কিট রাখা আছে। আর যেখানে প্রদীপের তেল দেওয়া থাকে সেখানে রাখা হয়েছে একটি স্ক্রু। এদিকে তার উপর জল রাখলেই বিদ্যুৎ সংবহনের ফর্মুলা মেনে শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে নেগেটিভ ও পজিটিভের মধ্যে যোগ তৈরি হচ্ছে। আর তার জেরে জ্বলে উঠছে এলইডি ল্যাম্প। তবে এই প্রদীপ নেভানোর জন্য় আলাদা কোনও সুইচ নেই। জল ফেলে দিলেই সার্কিট অফ। নিভে যাবে আপনার সাধের জল প্রদীপ। 

ব্যবসায়ীদের কথায়, দিল্লি থেকে এসেছে এই প্রদীপগুলি। শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি সহ অন্যান্য জেলাগুলিতেও যাচ্ছে এই জল প্রদীপ। রোজ কয়েক হাজার প্রদীপ বিক্রি হচ্ছে। ধীরে ধীরে দক্ষিণের জেলাগুলিতেও এই প্রদীপ পাঠানোর ইচ্ছা রয়েছে বলে জানান তাঁরা। এদিকে, মূল্য বৃদ্ধির বাজারে এই ধরনের প্রদীপ কিনে খরচা কমিয়ে ঘর সাজাতে লম্বা লাইন লক্ষ্য করা গেল ক্রেতাদের মধ্যে । স্বাভাবিকভাবেই এ বছরের দীপাবলি বা দিওয়ালিতে প্রদীপের চাহিদা যে তুঙ্গে, তা বলাই যায়। এবারের আধুনিক প্রদীপ জ্বলবে ঘরে ঘরে।