ভুটান পাহাড়ের কোলে সবুজের মায়াবী হাতছানি! পুজোয় আপনার জন্য সেরা অফবিট ডেস্টিনেশন চামুর্চি

চির সবুজে ঢাকা ভুটান পাহাড়ের বুক চিরে নেমে এসেছে  রেতী আর সুকৃতি নদী। পাহাড়ের কোলে দু-দেশের মাঝে যেন জিরো পয়েন্ট!

ভুটান পাহাড়ের কোলে সবুজের মায়াবী হাতছানি! পুজোয় আপনার জন্য সেরা অফবিট ডেস্টিনেশন  চামুর্চি

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: অপেক্ষার আর ১৬ দিন বাকি। আর তারপরই শুরু হয়ে যাবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। আর পুজো মানেই আমবাঙালির কাছে পাঁচদিনের জন্য কর্মব্যস্ত জীবন থেকে ক্ষণিকের ফুসরত। পরিবার প্রিয়জনের সঙ্গে অবসর যাপন। 

দুর্গা পুজো মানেই জমিয়ে ঠাকুর দেখা, প্যান্ডেল হপিং, জমজমাট খাওয়া দাওয়া, আড্ডা হইহুল্লোড় এই সবই। আবার অনেকে পুজোর এই পাঁচটা দিন একান্তে সময় কাটাতে পছন্দ করেন। আর এই সব পর্যটকদের জন্য নতুন গন্তব্য হতে পারে ভুটান পাহাড়ের কোলে চামুর্চি ইকোপার্ক। ডুয়ার্সের বানারহাট ব্লকের চামূর্চি গ্রাম পঞ্চায়েতে লক্ষাধিক টাকা ব্যায় করে  ইকো পার্কে বসানো হয়েছে 'আই লাভ চামূর্চি ফলক।'

শুধু তাই নয়, নির্মাণ করা হয়েছে একটা বিশ্রাম ঘর। চির সবুজে ঢাকা ভুটান পাহাড়ের বুক চিরে নেমে এসেছে  রেতী আর সুকৃতি নদী। পাহাড়ের কোলে দু-দেশের মাঝে যেন জিরো পয়েন্ট! মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে সুদৃশ্য এই পার্ক, তারই মাঝে  এই  আই লাভ চামূর্চি ফলক ভ্রমণ পিপাসুদের পাশাপাশি বর্তমান প্রজন্মের ছেলে ও মেয়েদের কাছে ও সেলফি  জোন হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

পুজোর মরশুমে এবারে এখানে অনেকটাই ভিড় হবে বলে আশাবাদী স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান থেকে শুরু করে  এলাকার বাসিন্দারা। পার্কে রয়েছে খাবার থেকে শুরু করে রাত্রি যাপন করার ব্যাবস্থাও। বানারহাট থেকে  ইন্দো ভুটান সার্ক রোড ধরে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত চামুর্চি ইকোপার্ক। যেখানে খুব সহজেই দেখা মিলতে পারে বিভিন্ন ধরনের পাখি,ময়ূর এমনকি হরিণেরও। 

এতদিন ডুয়ার্সে আসা আই লাভ ফলকের ছবি ও সেলফি তুলতে পর্যটকদের ঘুরতে যেতে হত বক্সা ,গরুমারা,মূর্তি,লাভা, মিরিক। তবে ঘরের কাছে পাহাড় ও জঙ্গলের মাঝে গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যেগে নির্মিত নতুন করে এই ফলক এবারে পর্যটকদের আকর্ষনের মূল কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ফলকটি আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে বসানো হয়েছে। এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান চন্দনা রায় বলেন, ''গ্রাম পঞ্চায়েতের পিবিজি ফান্ডের থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ব্যায় করে এই ফলক ও বিশ্রামালয় নির্মাণ করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় আমরা দেখেছি বর্তমানে এই ধরনের ফলক নির্মাণ করতে সেই থেকেই আমরা অনুপ্রাণিত হয়ে আমাদের এলাকাকে সাজিয়ে তুলতে এই ফলক বসিয়েছি।''

 এই বিষয়ে ঘুরতে আসা এক পর্যটক বলেন, ''আগের চামুর্তির সঙ্গে আজকের চামুর্চির বিস্তার ফারাক রয়েছে। একদিকে যেমন পর্যটকদের থাকার সুবন্দোবস্ত রয়েছে, অন্যদিকে আই লাভ চামূর্চি ফলক বসানোয় এই এলাকার সৌন্দর্য আরও কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। আশা করছি শুধুমাত্র রাজ্যের নয়, রাজ্যের বাইরে পর্যটকরাও এই এলাকায় আসবেন এর সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য।''