ক্যান্সার থেকে শুরু করে দৃষ্টিশক্তি ভালো করতে শীতকালে এই ফল দারুণ উপকারী

আয়রন মানবদেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান বিশেষ করে নারীদের দেহে আয়রনের চাহিদা পুরুষদের তুলনায় বেশি। আয়রনের অভাবে রক্তশুন্যতা দেখা দেয়।

ক্যান্সার থেকে শুরু করে দৃষ্টিশক্তি ভালো করতে শীতকালে এই ফল দারুণ উপকারী

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: 'খেজুর' মাত্র তিন অক্ষরের শব্দ হলেও এটি একটি মিষ্টি জাতীয় ফল। খেজুর খেতে পছন্দ করেন না এমন লোক খুঁজে পাওয়া বেশ দুষ্কর! কারণ, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে। যা আপনাকে প্রতিদিনের ক্যালরির চাহিদা পূরন করতে সাহায্য করে।

 খেজুরে থাকা প্রোটিন আপিনার পেশী গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়াও ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণের সহজ একটি মাধ্যম হচ্ছে খেজুর। খেজুর খেলে দৃষ্টিশক্তি যেমন ভালো থাকে তেমনি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

আয়রন মানবদেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান বিশেষ করে নারীদের দেহে আয়রনের চাহিদা পুরুষদের তুলনায় বেশি। আয়রনের অভাবে রক্তশুন্যতা দেখা দেয়। তাই আয়রনের অভাব পূরণ করতে খেজুরের তুলনা নেই। এটি হৃদপিন্ডের কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে। যাদের হৃদপিণ্ড দুর্বল তাদের জন্য খেজুর একটি আদর্শ খাদ্য হতে পারে যা তার রোগ প্রতিরোধে প্রতিশেধক হিসেবে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই কাজ করবে। 

কোনও বাড়তি চর্বি এবং কোলেষ্টরেল থাকে না বলে আপনি খেজুর খেলে আপনার ওজন বেড়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা থাকে না। খেজুরে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা মানুষের হাড় গঠনে সহায়তা করে থাকে। খেজুরের ক্যালসিয়াম শিশুদের জন্য খুবই উপকারী যা তাদের দাঁতের মাড়ি গঠনে সহায়তা করে। খেজুরের প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে এবং এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা নিয়মিত খেজুর খান তাদের পেটের ক্যান্সারের ঝুঁকি কম।

আসুন এবার এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক খেজুরের কিছু উপকারিতা:- 

1:- খেজুর আমাদের শরীরে জলের চাহিদা পূরণ করে ও ডিহাইড্রেশন দূর করতে সাহায্য করে।

2:- খেজুর শরীরে সোডিয়াম এবং পটাশিয়ামের সমতা রক্ষা করে।

3:- খেজুরের ক্যালসিয়াম হাড়কে মজবুত করে।

4:- খেজুর হৃৎপিণ্ডকে শক্তিশালী করে।

5:- খেজুরের শরীরের শক্তি বর্ধক হিসেবে কাজ করে। এর শতকরা ৮০ ভাগই চিনি। তাই শুকনো খেজুর বা খোরমাকে বলা হয় মরুভূমির গ্লুকোজ।

6:- খেজুরে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান সেরোটোনিন নামক হরমোন উৎপাদন করতে সহায়তা করে যা মানুষকে মানসিক প্রফুলতা দেয়। যা মন ভাল রাখতে সহায়তা করে।

7:- খেজুরে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে। তবে খেজুর খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর জল খেতে হবে, তবেই উপযুক্ত ফল পাওয়া যাবে।

8:- খাদ্যে অরুচি দূর করতে সহায়তা করে এই ফল।

9:- খেজুরে থাকা ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি দৃষ্টিশক্তি ভালো করতে সাহায্য করে।

10:- খেজুরে থাকা পুষ্টি উপাদান ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে।

11:- খেজুরে থাকা ডায়েটরি ফাইবার কলেস্টরেল এর সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।

12:- খেজুরে আছে স্যলুবল এবং ইনস্যলুবল ফাইবার। এবং বিভিন্ন অ্যামিনো অ্যাসিড যা খাবার হজমে সাহায্য করে থাকে। তাই বদ হজম থেকে রেহাই পেতে খেজুর খুবই উপকারী একটি খাবার।

13:- খেজুর তারুণ্য এবং যৌবন ধরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

14:- খেজুরে থাকা আয়রন রক্তশূন্যতা দূর করে।

এছাড়াও খেজুরের ঔষধি গুণ রয়েছে প্রচুর। খেজুর বিভিন্ন সংক্রামক রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। বিশেষ করে যকৃতের সংক্রমণ এবং সর্দি, কাশি, জ্বর প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। এছাড়া বদহজম, উচ্চরক্তচাপ, রক্তশূন্যতা ইত্যাদি সমস্যায় খেজুর দারুণ উপকারী।