পদ্মের যোগানে ঘাটতি, পুজোর মুখে সমস্যায় চাষীরা

এবছর করোনার প্রকোপ কমলেও বৃষ্টি না হওয়ায় পদ্মফুলের চাষই হয়নি উত্তর দিনাজপুর জেলায় শেরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবপুর গ্রামে। 

পদ্মের যোগানে ঘাটতি, পুজোর মুখে সমস্যায় চাষীরা

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: পদ্মফুল ছাড়া যেকোনও পুজোই আভূষনহীন। বিশেষ করে দেবী দূর্গার আরাধনা পদ্মফুল ছাড়া পুজোই হবে না। সন্ধিপুজোতে ১০৮ টি পদ্মফুলেই দেবী দূর্গা তুষ্ট হন। কিন্তু যারা এই পদ্মফুল চাষ করেন তারাই আজ চরম দুর্ভোগে।  

এবছর জেলায় তেমনভাবে বৃষ্টি না হওয়ায় জলাশয়গুলোতে জল নেই। তাই জলের অভাবে এবার পদ্ম চাষে মার খেয়েছেন পদ্মচাষীরা। গতবছর হাজার হাজার পদ্মফুলের চাষ করলেও করোনা আবহের কারনে পুজো উদ্যোক্তারা পদ্মফুলের জন্য তাঁদের সঙ্গে সেভাবে যোগাযোগ করেনি। কিন্তু এবছর করোনার প্রকোপ কমলেও বৃষ্টি না হওয়ায় পদ্মফুলের চাষই হয়নি উত্তর দিনাজপুর জেলায় শেরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবপুর গ্রামে। 

যারফলে এবার জলাশয়ে দেখা মিলছে না পদ্মফুলের। শরতের আগমণীর বার্তার সঙ্গে সঙ্গে জলাশয়গুলিতে ভরে ওঠে পদ্মের কুঁড়ি। প্রতিবছরের মতো এবছরেও চাষীরা আশা করেছিলেন জলাশয়গুলিতে প্রচুর পদ্ম ফুটবে। কিন্তু এবার তাঁদের হতাশ করেছে। জলাশয়গুলিতে নেই পদ্ম। পুজোর আগে থেকেই দুর্গাপুজো কমিটির সদস্যরা গ্রামে এসে ফুলের জন্য অগ্রিম পাওনা দিয়ে যান চাষীদের। কিন্তু এবার জেলায় পদ্মের দেখা না মেলায় মনখারাপ চাষীদের।

এক ফুলচাষী বলেন,"পুজোর আগে পদ্মফুলের বিক্রি করে বাড়তি কিছু পয়সা হাতে আসে। সেই পয়সা দিয়ে পরিবারের সদস্যদের নতুন জামাকাপড় কেনা হয়। কিন্তু এবার সেভাবে বর্ষা না হওয়ার কারনে জলাশয়গুলিতে পদ্মের কুঁড়ির দেখাও মিলছে না। ফলে চরম সংকটে উত্তর দিনাজপুর জেলার পদ্মচাষীরা''।