রাজভবন থেকে উপরাষ্ট্রপতি ভবন, আলভাকে হারিয়ে জয়ী ধনখড়

শনিবার বিকেল ৫টার পর ভোট গণনা শেষ হতেই দেখা যায়, রাজ্যসভা ও লোকসভা মিলিয়ে মোট ৭২৫ জন সাংসদ ভোট দিয়েছেন। তার মধ্যে ১৫টি ভোট অবৈধ হিসেবে ঘোষিত হয়।

রাজভবন থেকে উপরাষ্ট্রপতি ভবন, আলভাকে হারিয়ে জয়ী ধনখড়

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: রাজভবন টু উপরাষ্ট্রপতি ভবন। শেষ হাসি হাসলেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বিরোধী প্রার্থী মার্গারেট আলভাকে হারিয়ে জয়ী হলেন ধনখড়। তিনিই হলেন ভারতের ১৪তম উপরাষ্ট্রপতি। 

গত তিন বছর ধরে বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে তিনি যখন দায়িত্বে ছিলেন তখন একাধিক ইস্যুতে রাজ্য-রাজভবন সংঘাত চরমে ছিল। শুধু তাই নয়, দেশের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদান থেকে বিরত থেকেছে তৃণমূল। তা নিয়েও কম ডামাডোল হয়নি। যদিও শেষপর্যন্ত শনিবার রাতে পাল্লা ভারী হয় ধনখড়ের।

এদিকে শনিবার বিকেল ৫টার পর ভোট গণনা শেষ হতেই দেখা যায়, রাজ্যসভা ও লোকসভা মিলিয়ে মোট ৭২৫ জন সাংসদ ভোট দিয়েছেন। তার মধ্যে ১৫টি ভোট অবৈধ হিসেবে ঘোষিত হয়। অর্থাৎ ৭১০টি ভোটের মধ্যে ধনখড় পেয়েছেন ৫২৮টি ভোট। অন্যদিকে, বিরোধী প্রার্থী মার্গারেট আলভা পেয়েছেন মাত্র ১৮২টি ভোট। যারফলে শনিবার রাতেই 72.8 শতাংশ ভোট পেয়ে জগদীপ ধনখড়ের উপরাষ্ট্রপতি ভবন দখল নিশ্চিত হয়। 

উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী পক্ষ প্রথম থেকেই ব্যাকফুটে ছিল। যদিও তৃণমূল অনেক আগেই ঘোষণা করে দিয়েছিল যে, তাঁরা উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদান থেকে বিরত থাকবে। যদিও ভোটদান পর্ব থেকে তৃণমূল বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিলেও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন তৃণমূলের দুই বিদ্রোহী সাংসদ। তাঁরা হলেন-দিব্যেন্দু অধিকারী এবং শিশির অধিকারী।

এই বিষয়ে তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,  ''এটা থেকে আজ স্পষ্ট হয়ে গেল যে ওই দুই সাংসদ তৃণমূলের সঙ্গে নেই। শুধু তাই নয়, শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের জন্য আবেদন জানিয়ে লোকসভার স্পীকারকে চিঠি দিয়েছে তৃণমূলের সংসদীয় দল।