শারোদৎসবে মাতোয়ারা বাংলা, অথচ ঘরে তালাবন্দি জ্যান্ত উমা! 

আশি বছরের বৃদ্ধা মা পড়ে রয়েছে একইভাবে মশারির নিচে। দুমড়ে মুচকে ধুলো বইয়ের পাশে বহুদিন ধরে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা হয় না সেই ঘর রয়েছে।

শারোদৎসবে মাতোয়ারা বাংলা, অথচ ঘরে তালাবন্দি জ্যান্ত উমা! 

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: জলপাইগুড়ি শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত থানা মোড়। যারা শহরকে শাসন করে সঠিক দিশায় নিয়ে যায় সেই স্থানের পাশে এমন এক দৃশ্য দেখা গেল তা দেখে চোখে জল আসার মত। তালাবন্দি ঘরে পড়ে রয়েছেন বৃদ্ধা, দেখবার কেউ নেই। পরিবার বলতে ছিল, মেয়ে এবং স্বামী। স্বামী চলে গিয়েছেন পরলোকে। মেয়েরও বিয়ে হয়ে গিয়েছে। দেখতে আসে না আর বৃদ্ধ মাকে।

আশি বছরের বৃদ্ধা মা পড়ে রয়েছে একইভাবে মশারির নিচে। দুমড়ে মুচকে ধুলো বইয়ের পাশে বহুদিন ধরে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা হয় না সেই ঘর রয়েছে। তার স্বামী ছিলেন জলপাইগুড়ির নাম ডাক উকিল এক ডাকে চিনতেন শহরবাসী সুনীল রায়কে। তার স্ত্রী আজ এই করুণ দশা। সেই খবর পেয়ে ছুটে আসেন সমাজ সেবক তবলা দা নামে পরিচিত। খবর পেয়ে তবলা গুহ রায় সমাজসেবিক স্বর্গীয় সুনীল রায় স্ত্রী করুণ অবস্থায় ঘরে পড়ে রয়েছে দেখবার কেউ নেই তড়িঘড়ি ছুটে যায় সুনীল রায়ের বাড়িতে। 

তিনি বলেন খুবই বাজে অবস্থায় পড়ে রয়েছে স্বর্গীয় সুনীল রায় স্ত্রী সঠিকভাবে চিকিৎসা ব্যবস্থা হচ্ছে না তার সাথে সাথে খাদ্য সামগ্রী ও সঠিকভাবে পাচ্ছে না তিনি। সমাজসেবী তবলা বাবু জানান বলেন তার মেয়ের রয়েছে বিষয় নিয়ে তিনি ধিক্কার জানায় কারণ যে বৃদ্ধ বয়সে  মাকে দেখেনা তার বিষয় নিয়ে আমার বলার ভাষা নেই মা জীবনের পথ চলার শুরু তাকেই যদি না দেখে এরকম মেয়ে না থাকা অনেক ভালো। তার মেয়েকে ফোন করার পর সঠিকভাবে ব্যবস্থা নিতে পারবেন না।

 তিনি এই প্রসঙ্গে জানান, আগামীকাল তাকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হবে। প্রতিবেশী বাড়ি মানুষজন জানায় মেয়ে রয়েছে এখন শিলিগুড়িতে থাকে ছয় মাস আগে এসেছিল তাও দেখা করেনি মার সাথে আমার বাড়িতে এসে চলে গিয়েছে। কি অবস্থায় পড়ে রয়েছে মা কোন খবর নেয় না। ব্যাংক টাকা রয়েছে দেখবার কেউ নেই পরিচালিকা দিয়েই চলছে জীবন। কখনো আমরা এসে দেখে যাই কিছুদিন আগে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন ই রিক্সার সাথে ধাক্কা লেগে যায় তাতে কি একটু অসুস্থ হয়ে পড়ে কিন্তু হসপিটালে কি নিয়ে যাবে সেই মানুষটা নেই আর। 

মেয়ে আছে না থাকার মত। যদি ঘর থেকে বেরিয়ে না যায় সেই উদ্দেশ্যে আমি বাড়ি থেকে তারা বেরিয়ে যাই বা দিনকাল এখন ভালো নয়। ঘরের ভিতরে মানুষ চুরি ডাকাতি হয়ে যেতে পারে সেই কারণে আমি বাড়ি থেকে তালা মেরে দেই পাশের বাড়ির এক মহিলা।

জানা যায়, পরিচালিকা রয়েছে সেই বৃদ্ধার খাবার তৈরি করবার জন্য। সেও নিজের কাজে ফাঁকি দিয়ে চলে যায়। কখন তিনি খেলেন বা কখন ঘুমোলো তারও কোন খেয়াল নেই। মাস গেলে মোটা টাকা অর্থ নিয়ে চলে  পরিচালিকা।