দলমার হামলায় প্রাণ হারালেন ৩ জন, ক্ষুদ্ধ গ্রামবাসীরা

বুধবার রাতে একটি শাবকসহ তিনটি হাতি ঝাড়গ্রাম শহরের উপকণ্ঠ কন্যাডোবা এলাকায় ঢুকে পড়ে।

দলমার হামলায় প্রাণ হারালেন ৩ জন, ক্ষুদ্ধ গ্রামবাসীরা

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: কিছুতেই যেন কমছে না দলমার দাঁতালদের দাপট। ফের হাতির হানায় প্রাণ হারালেন ৩ জন নিরীহ মানুষ। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রাম শহর লাগোয়া দরখুলি গ্রামে। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ২ জন। 

জানা গিয়েছে, মৃত ৩ জনের মধ্যে ভূষণ মাহাতোর (২৫) বাড়ি ঝাড়গ্রাম শহরের দরখুলি গ্রামে। অপর মৃত রামেশ্বর বাস্কের বয়স ৬৫ বছর। কন্যাডোবা গ্রামে তাঁর বাড়ি। মৃতা দেবী মন্ডলের (৪৫) বাড়ি ঝাড়গ্রাম পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বেনাগেড়িয়া এলাকায়। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে, বুধবার রাত ৯'টা নাগাদ একটি শাবকসহ তিনটি হাতি ঝাড়গ্রাম শহরের উপকণ্ঠ কন্যাডোবা এলাকায় ঢুকে পড়ে। ওই এলাকা দিয়ে সাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন কয়েকজন। আচমকা কাজুবাগান থেকে বেরিয়ে পড়ে শাবক সহ তিনটি হাতি। সেই সময় রামেশ্বর বাস্কে, ভূষণ মাহাতো সহ তিনজনকে শুঁড় দিয়ে ছুঁড়ে পা দিয়ে পিষে দেয় হাতি।

ঘটনায় তাঁদেরকে উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা রামেশ্বর, দেবী, ভূষণকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে, সনু ঘোষ নামে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক তাঁর চিকিৎসা চলছে। এদিকে গ্রামবাসীর তাড়া খেয়ে হাতিগুলি ঝাড়গ্রাম শহরের বেনাগেড়িয়া এলাকায় ঢুকে পড়ে বলে খবর জানা গিয়েছে।

আরও জানা গিয়েছে, বাড়ির উঠোনে বসে গল্প করছিলেন বছর ৪৫-এর দেবী মন্ডল। সেই সময় তাঁর বাড়ি লাগোয়া ঝোঁপ থেকে হাতি বেরিয়ে পড়তেই পরিজনরা পালিয়ে যান। কিন্তু
 দেবী মণ্ডল পালাতে না পারায় তাঁকে শুঁড় দিয়ে আছড়ে মারে হাতি। ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। শুধু তাই নয়, একসঙ্গে হাতির হামলায় ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনা ও দুই জন আহত হওয়ার ঘটনায় এলাকা জুড়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনায় বন দফতরের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।