কিডনি ভালো রাখতে পাতে থাকুক এই সবজি, রোগ ঘেঁষবে না ধারেকাছে

পেঁয়াজে আছে প্রচুর পরিমাণে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বা পঁচনরোধী উপাদান। যা কিডনিকে বিষমুক্তকরন এবং পরিষ্কার করতে সহায়তা করে।

কিডনি ভালো রাখতে পাতে থাকুক এই সবজি, রোগ ঘেঁষবে না ধারেকাছে

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে প্রতিনিয়ত নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় আমাদের। রোজকার জীবনের দৌড়ঝাঁপ। ৭'টা-৫'টা ডিউটি করতে গিয়ে আজকাল নিজেদের যত্ন নিতেই ভুলে যান অনেকে। যার কুপ্রভাব যেমন মনের উপর পড়ে তেমনই নানারকম শারীরিক অসুস্থতা চলে আসে জীবনে। 

আজকাল অনেকের মুখেই শোনা যায় কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। শরীরের অন্যতম কার্যকরী অঙ্গ হল এই কিডনি। কিডনি একবার বিকল হয়ে গেলে আরও নানারকম সমস্যার মুখে পড়তে হয় রোগীকে। তার জন্য সময় থাকতে এখন থেকেই নিজের কিডনির যত্ন নিন। শরীর ও স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখুন। 

যে খাবারগুলি খেলে ভালো থাকবে কিডনি:- 

১.পেঁয়াজ:- পেঁয়াজে আছে প্রচুর পরিমাণে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বা পঁচনরোধী উপাদান। যা কিডনিকে বিষমুক্তকরন এবং পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। এতে পটাশিয়াম, ক্রোমিয়াম ইত্যাদি কম থাকে। ফলে পেঁয়াজ চর্বি, প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেটস হজমে সহায়তা করে।

২। বেরি:- বেরিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন সি, খাদ্য আঁশ এবং ফোলেট। স্ট্রবেরি, ক্র্যানবেরি, র‌্যাস্পবেরি এবং ব্লুবেরি কিডনির জন্য বেশ উপকারী বলে বিবেচিত হয়। বেরিতে আছে প্রদাহরোধী এবং পঁচনরোধী উপাদান এবং মূত্রাশয়ের কার্যক্রমেরও উন্নতি ঘটায়।

৩। অলিভ অয়েল:- সকলেই জানেন অলিভ অয়েল হার্টের জন্য ভালো। কিন্তু সেটি যে কিডনির জন্যও উপকারী তা জানেন কি? এতে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রদাহরোধী ফ্যাটি এসিড যা জারন কমিয়ে কিডনিকে সুরক্ষিত রাখে। সালাদে বা রান্নায় এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।

৪। বাঁধাকপি:- এতে আছে ফাইটোকেমিক্যালস, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, এবং ভিটামিন কে এবং আঁশ ও ফলিস এসিড। এই সবগুলো উপাদান ক্ষতিগ্রস্ত কিডনির মেরামত এবং কিডনিকে সচল রাখতে সহায়তা করে।. মাছ: এতে থাকা ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড দেহের প্রদাহ কমায় এবং কিডনিকে সুরক্ষা দেয়। যাদের কিডনিতে সমস্যা হচ্ছে তাদের বেশি বেশি মাছ খাওয়া উচিত।

৫। রসুন:- রসুনে আছে পঁচনরোধী এবং জমাটরোধী উপাদান যা কার্যকরভাবে কিডনি রোগ প্রতিরোধ করে। রসুন কিডনিকে ক্ষতিকর ধাতব পদার্থের সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।

৬। ডিমের সাদা অংশ:- কিডনি রোগে আক্রান্তদেরকে ডিমের অংশ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ ডিমের সাদা অংশে ফসফরাসের পরিমাণ কম থাকে এবং ভালো মানের প্রোটিন বেশি থাকে। এছাড়া এতে আছে অ্যামাইনো অ্যাসিড যা কিডনির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার জন্য জরুরি। তবে কিডনির রোগ হলে ডিমের কুসুম না খাওয়াই ভালো।

৭। আপেল:- কোষ্ঠ্য কাঠিন্য দূর করে, হৃদরোগ প্রতিরোধ করে এবং দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। এছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বা পঁচনরোধী উপাদান এবং ভিটামিন থাকায় আপেল কিডনির স্বাস্থ্যও ভালো রাখে। এছাড়া রক্তে কোলোস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে এবং রক্ত পরিষ্কার রাখতেও বেশ কার্যকর আপেল।

৮। লাল ক্যাপসিকাম:- এতে পটাশিয়াম কম, কিন্তু উচ্চমাত্রায় ভিটামিন এ, বি, সি এবং বি৬ আছে। এটি ফলিক অ্যাসিড এবং খাদ্য আঁশেরও ভালো উৎস। যেগুলো কিডনিকে সচল রাখার জন্য জরুরি।