মিষ্টিপ্রেমীদের কাছে ল্যাংচা-মিহিদানার সমান জনপ্রিয় 'মেচা', GI স্বীকৃতির অপেক্ষায় বেলিয়াতোড়

বাঁকুড়া থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে গেলেই বেলিয়াতোড়। সেখানে গেলেই মিলবে একেবারে মেচা মহল। মেচা পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার বেলিয়াতোড়ের এক জনপ্রিয় মিষ্টি।

মিষ্টিপ্রেমীদের কাছে ল্যাংচা-মিহিদানার সমান জনপ্রিয় 'মেচা', GI স্বীকৃতির অপেক্ষায় বেলিয়াতোড়

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: বাঁকুড়া থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে গেলেই বেলিয়াতোড়। সেখানে গেলেই মিলবে একেবারে মেচা মহল। মেচা পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার বেলিয়াতোড়ের এক জনপ্রিয় মিষ্টি। 

জনপ্রিয় স্বাদের এই মিষ্টিকে ম্যাচা সন্দেশও বলা হয়। বেলিয়াতোড়ের মেচা অত্যন্ত প্রসিদ্ধ এবং সবথেকে উৎকৃষ্ট বলেই গণ্য করা হয়। বেলিয়াতোড়ের এই মেচা সন্দেশ প্রায় ২০০ বছরের পুরনো। শক্তিগড়ের ল্যাংচা বা বর্ধমানের সীতাভোগ-মিহিদানার মতোই এটি দেশ বিদেশে সমান জনপ্রিয়। দুর্গাপুর-বাঁকুড়া জাতীয় সড়কের পাশেই অবস্থিত বেলিয়াতোড়ে নেমে পড়লেই প্রায় প্রতিটি দোকানেই মিলবে এই মেচা সন্দেশ।  

মুগডাল ও চিনি দিয়ে ম্যাচা তৈরী করা হয়। মুগডালকে প্রথমে গুঁড়ো করে নেওয়া হয় ৷ এরপর খোয়া ক্ষীরের সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করা হয় এর মণ্ড। তারপর রসে ফেলে দেওয়া হয়। তবে ফোটানো হয় না। রসে ফেলেই তুলে নেওয়া হয়। ব্যাস, এভাবেই কয়েকশো বছর ধরে মিষ্টিপ্রেমীদের রসনা তৃপ্তি করে আসছে বেলিয়াতোড়ের মেচা। বর্তমানে এর দাম পাঁচ টাকা থেকে দশ টাকার মধ্যেই। ফলে মিষ্টি প্রেমীদের সাধ্যের মধ্যেই বাঁকুড়া গেলেই পাওয়া যাবে এই মেচা সন্দেশ।

 প্রসঙ্গত, বেলিয়াতোড়ের মেচা প্রস্তুতকারকদের মতে ম্যাচার ইতিহাস প্রায় দু'শো বছরের প্রাচীন। জানা যায়, ০বিষ্ণুপুরের মল্লরাজের দেওয়ান রাজার কাছ থেকে উপহার পেয়েছিলেন বেলিয়াতোড়ের জমিদারি। সেই সময়ে বেলিয়াতোড়ে প্রথম মেচা তৈরি হয়। ইতিমধ্যেই বেলিয়াতোড়ের মেচা ব্যবসায়ীরা তাঁদের এই ২০০ বছরের পুরোনো বিখ্যাত মেচা জিআই স্বীকৃতির আবেদন জানিয়েছেন। যদিও সময়ের অপেক্ষা কখন এই মেচা GI স্বীকৃতি পাবে।