দুয়ারে দীঘা-পুরী, সমুদ্র দেখতে ভিড় দূরদুরান্তের পর্যটকদের

 ভাবতে অবাক লাগছে! গল্প হলেও সত্যি ঘটনা। মালদহের সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাটরা বিল এখন মিনি দীঘা বলে সকলের কাছে পরিচিত।

দুয়ারে দীঘা-পুরী, সমুদ্র দেখতে ভিড় দূরদুরান্তের পর্যটকদের

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: সমুদ্র দেখতে সবারই ভালো লাগে। সমুদ্র বলতে প্রথমেই যে জায়গা দু'টির নাম প্রথমে আসে তা হল দীঘা আর পুরী। তবে বাড়ির পাশেই জেলাবাসি এখন সমুদ্রের মত জলের স্রোত দেখে অনুভব করছে সেই আনন্দ। এক কথায় বলা চলে 'দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো।' 

 ভাবতে অবাক লাগছে! গল্প হলেও সত্যি ঘটনা। মালদহের সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাটরা বিল এখন মিনি দীঘা বলে সকলের কাছে পরিচিত। সমুদ্রের মতোই তীব্র জলের স্রোত দেখে অনেকেই অনুভব করছে জীবনে একবারও না সমুদ্র দর্শণের আনন্দ। মালদহের এই ভাটরা বিল পর্যটকের কাছে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠছে দিন-দিন। মালদহ শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই ভাটরা বিল। বর্ষার সময় বৃষ্টির জলে ভরে যায় এই বিল। আবার গ্রীষ্মের সময় এই বিলে আর জল থাকে না। তবে এবার জেলায় বর্ষাকালে বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই কম। তবুও বিলে জলস্রোত কমেনি। আর সেই জলস্রোত দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন বহু পর্যটকরা।

 জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে শুরু করে প্রতিবেশী জেলা, এমনকি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও এই ভাটরা বিল যাকে মিনি দীঘা বলে সকলে চেনেন সবাই একবার দেখতে আসছেন। একসময় নৌকাও চলত এই বিলে। তবে প্রশাসনের কড়া নির্দেশে এখন আর নৌকা চলে না। যদিও এবার ভাটরা বিলে যাওয়ার রাস্তাটা বেহাল হয়ে পড়েছে। পর্যটকদের দাবি, এই ভাটরা বিলকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হোক।

 পাশাপাশি এখানে আসার রাস্তাগুলিও মেরামত করা উচিত বলে দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এই প্রসঙ্গে জেলা শাসক নীতিন সিংহানিয়া জানান, দিনে দিনে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই ভাটরা বিল। তাই পর্যটকদের দেখতে যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয় সে বিষয়ে তাঁরা নজর রাখছেন। পাশাপাশি, নিরাপত্তার বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে। আর ভাটরা বিলে যেতে যে রাস্তাটি রয়েছে সে রাস্তাটিকেও বর্ষা চলে গেলে মেরামতের কাজ শুরু করা হবে।