বেতন কাটা হয়েছে অস্থায়ী কর্মীদের, ধুন্ধুমার মেদিনীপুর পৌরসভায়

মেদিনীপুর পৌরসভার বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য নেওয়া কর্মীদের দৈনিক কুড়ি টাকা করে বেতন কাটা হচ্ছে বলে দাবি কর্মীদের।

বেতন কাটা হয়েছে অস্থায়ী কর্মীদের, ধুন্ধুমার মেদিনীপুর পৌরসভায়

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: বেতন কাটা হয়েছে অস্থায়ী কর্মীদের, কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ কর্মীদের। শুধু তাই নয়, ভাঙ্গা হল মেদিনীপুর পৌরসভার গেট। সোমবার অস্থায়ী কর্মীদের বেতন কাটাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছড়ায় মেদিনীপুর পৌরসভার সামনে।

মেদিনীপুর পৌরসভার বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য নেওয়া কর্মীদের দৈনিক কুড়ি টাকা করে বেতন কাটা হচ্ছে বলে দাবি কর্মীদের। তারই প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে পৌরসভার সামনে কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কর্মীরা। তা থেকেই ছাড়ায় উত্তেজনা। শুধু তাই নয়, উত্তেজিত কর্মীরা ভেঙে ফেলে পৌরসভার বন্ধ রাখা লোহার গেট। ঘটনায় ধুন্ধুমার কান্ড মেদিনীপুর পৌরসভা চত্বরে। 

মেদিনীপুর পৌরসভার বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য নেওয়া কর্মীদের দৈনিক কুড়ি টাকা করে বেতন কাটা হচ্ছে বলে দাবি কর্মীদের। তারই প্রতিবাদের সোমবার সকাল থেকে পৌরসভার সামনে কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ শুরু করেন কর্মীরা। তা থেকেই ছাড়ায় উত্তেজনা। উত্তেজিত কর্মীরা ভেঙে ফেলে পৌরসভার বন্ধ রাখা লোহার গেট। ধুন্ধুমার কান্ড সামলাতে ছুটে আসে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
 

পৌরসভার অস্থায়ী কর্মীদের একটা সময় প্রতিদিনকার বেতন  ২২৬ টাকা করে দেওয়া হত। বর্তমানে দু'মাস ধরে চব্বিশ টাকা করে বেতন কেটে নেওয়া হয় বিশেষ সরকারি নির্দেশে। এরই প্রতিবাদে সামিল হন পৌরসভার কয়েকশো অস্থায়ী কর্মী। গত তিনদিন আগেও কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তাঁরা। সোমবার সকাল থেকে কাজ বন্ধ করে ফের বিক্ষোভ শুরু হয় মেদিনীপুর পৌরসভার সামনে। তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করলেও উত্তেজিত কর্মীরা ভেঙে দেয় পৌরসভার লোহার একটি গেট।

পৌরসভার কাউন্সিলর ইনচার্জ জানিয়েছেন, পুরকর্মীদের তাঁরা অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শ্রমিক সংগঠনের নেতার প্ররোচনায় একদল কর্মী ভাঙচুর তাণ্ডব শুরু করে। হেনস্থা করা হয় সকলকে। তাঁরা কর্মীদের সঙ্গে সহমর্মী কিন্তু একদল লোক তাণ্ডব করছে। 

অন্যদিকে শ্রমিক সংগঠনের নেতা দাবি করে জানান, বেআইনিভাবে গত দু মাস ধরে কর্মীদের বেতন কাটা হচ্ছে। তাঁরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং পুরো টাকা ফেরতের দাবি করেছেন। আর তা নিয়েই এদিন আন্দোলন হচ্ছিল।

অভিযোগ, পৌরসভার কাউন্সিলরদের একটা অংশ তাঁদের আন্দোলনের মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করেছে। তাদের কারণে উত্তেজনা বেড়েছে। ওরা তাঁদের ন্যায্য আন্দোলন ও দাবীকে ভাঙ্গার চেষ্টা করছে। এদিকে সোমবার সকাল থেকে কর্মী বিক্ষোভের জেরে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় পুরসভা চত্বরে। যদিও পরিস্থিতি সামাল দিতে আনা হয় কোতোয়ালি থানার পুলিশকে। পুলিশ ও পুর কর্তৃপক্ষের চেষ্টায় দীর্ঘ সময় পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আসে।