বেড়েছে শামুকখোল পাখির আনাগোনা, শুভ ইঙ্গিত দেখছেন পরিবেশপ্রেমীরা

প্রতিবছর এই সময় আদিনা ফরেস্টে শামুকখোল পাখি ভিড় করে। পাখিদের থাকার মত নিরিবিলি পরিবেশে ও বড় বড় গাছ রয়েছে। সেখানেই পাখি ভিড় করে। পাখি দেখার জন্য মালদহ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন।

বেড়েছে শামুকখোল পাখির আনাগোনা, শুভ ইঙ্গিত দেখছেন পরিবেশপ্রেমীরা

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: আদিনা ফরেস্টের একাংশ জুড়ে গাছের মগডালে শামুকখোল পাখির আনাগোনা। বাসা তৈরি করছে, কেউ আবার উড়ে বেড়াচ্ছে। বিগত বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে এবারের পরিযায়ী পাখির সংখ্যা।  এমনটাই দাবি বন দফতরের কর্তাদের। 

প্রতিবছর এই সময় আদিনা ফরেস্টে শামুকখোল পাখি ভিড় করে। পাখিদের থাকার মত নিরিবিলি পরিবেশে ও বড় বড় গাছ রয়েছে। সেখানেই পাখি ভিড় করে। পাখি দেখার জন্য মালদহ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন। শুধু জেলা নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পাখিপ্রেমী মানুষের আসেন এখানে। 

মালদহ জেলা বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রজনন করার জন্য মূলত এখানে আসে শামুকখোল প্রজাতির পাখি। মে মাস থেকে পাখি আসা শুরু হয়। মূলত হিমালয়ের পাদদেশে থেকে মালদহের আদিনা ফরেস্টে শামুকখোল প্রজাতির পাখি আসে। এই বছর মে মাসের ২০ তারিখে প্রথম শামুকখোলা পাখি দেখা গিয়েছিল। তারপর থেকে ভিড় বাড়তে শুরু করে। অগাস্ট মাসে সব থেকে বেশি পাখি দেখা যায়। এখানে পাখিগুলো বাসা তৈরি করে থাকে। সেখানে ডিম দেয়। বাচ্চা ফুটিয়ে আবার ফিরে চলে যায়। 

বন দফতরের কর্তারা জানান, এক একটি বাসায় তিন থেকে চারটি করে
বাচ্চা হয়। বাচ্চা একটু বড় হয়ে উড়তে শিখলেই চলে যায়। সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে থেকে যেতে শুরু করে।

 প্রতিবছর বন দফতরের উদ্যোগে এই শামুকখোল পাখির সুমারি করা হয়। গত বছর আদিনা ফরেস্টে প্রায় ২৪ হাজার শামুকখোল পাখির দেখা মিলেছিল। এই বছর সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিকে বন দফতরের উদ্যোগে পাখি সুমারি করা হবে। বন দফতরের কর্তাদের অনুমান, গত বছরের তুলনায় এ বছর পাখির সংখ্যা আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে।