দুই দলিত নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ, দোষীদের কঠোর শাস্তির আশ্বাস যোগীর

উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে দুই দলিত নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দোষীদের এক মাসের মধ্যে সাজা দেওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

দুই দলিত নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ,  দোষীদের কঠোর শাস্তির আশ্বাস যোগীর

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: লখিমপুরের দোষীদের এক মাসের মধ্যে সাজা দেবেন। নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরে ঘোষণা যোগীর। 

উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে দুই দলিত নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দোষীদের এক মাসের মধ্যে সাজা দেওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এদিকে এই ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ সরকারের কড়া সমলোচনা করেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধি।  

এই বিষয়ে কংগ্রেস নেত্রী বলেন, ''দুই বোনকে খুনের ঘটনা হৃদয় বিদারক। পরিবার বলেছে, দিনের আলোয় সকলের চোখের সামনে থেকে মেয়ে দু'টিকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রোজ টিভি ও সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিলেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।'' সমালোচনা করেন অখিলেশ যাদব, মায়াবতীও। 

২০১৪ সালের কোনও এক সকালে এক ভয়াবহ দৃশ্য দেখে থমকে গিয়েছিল গোটা গ্রাম। গাছের ডাল থেকে ঝুলছে দুই কিশোরীর মৃতদেহ। শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। বেশ কিছু বছর পর সেই ভয়াবহতা তুলে ধরা হয়েছিল আর্টিকেল ১৫ ছবির মাধ্যমেও। আট বছরের পরের সেই ভয়ানক স্মৃতি ফিরে এল উত্তরপ্রদেশে। বদায়ুঁর ঘটনারই পুনরাবৃত্তি লখিমপুর খেরিতে। দুই দলিত কন্যার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে বৃহস্পতিবার তোলপাড় লখিমপুর।

 পুলিশ সূত্রে খবর, একজনের বয়স ১৭ এবং অন্যজনের বয়স ১৫। নিগহাসান থানা এলাকার একটি গাছ থেকে তাদের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। দুই নাবালিকা সম্পর্কে দুই বোন। তাদের মায়ের অভিযোগ, মেয়েদের হত্যা করা হয়েছে। তাঁর দাবি, কয়েকজন যুবক বাইকে করে ওই নাবালিকদের অপহরণ করেছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে খুন, ধর্ষণ ও পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে সুহেল, জুনায়েদ, হাফিজুল রহমান, করিমুদ্দিন ও আরিফ নামের ৫ যুবককে। ছোটু নামে আরও একজন যে অভিযুক্তদের সঙ্গে তাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল, তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। 

এই বিষয়ে জেলা পুলিশ প্রধান সঞ্জীব সুমন সাংবাদিকদের বলেন,  ''দুই নাবালিকাকে একটি আখ খেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে সুহেল ও জুনায়েদ। সুহেল ও জুনায়েদের সঙ্গে দুই বোনের বন্ধুত্ব ছিল বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, "মেয়েরা বিয়ের জন্য জেদ করলে, পুরুষরা তাদের দোপাট্টা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। তারপর করিমুদ্দিন এবং আরিফ ঘটনাস্থলে এসে ঢাকতে সাহায্য করে। তারা মৃতদেহ গাছে ঝুলিয়ে রেখেছিল যাতে এটিকে আত্মহত্যার মতো দেখায়।"