জল্লাদের চাকরি ! ভারতবর্ষে এই পেশায় নিযুক্ত রয়েছে কয়জন ?

জল্লাদের-চাকরি--ভারতবর্ষে-এই-পেশায়-নিযুক্ত-রয়েছে-কয়জন ?

জল্লাদের চাকরি ! ভারতবর্ষে এই পেশায় নিযুক্ত রয়েছে কয়জন ?

এই চাকরি আবার কেউ করে নাকি ? নামটা শুনলেই সাধারন মানুষ তো বটেই আসামিদেরও বুক কেঁপে উঠে |  ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী আদালতে যে সমস্ত সাজা দেওয়া হয় তার মধ্যে মৃত্যুদণ্ড  সর্বোচ্চ অপরাধের সাজা রূপে বিবেচিত |  ভারতবর্ষে মৃত্যুদণ্ড সাজা দেওয়া হয় ফাঁসির মাধ্যমে  |   যারা এই সাজা কার্যকর করে থাকেন,   তাদের বলা হয় জল্লাদ | ২০০৯ সালের আগে অব্দি ভারতবর্ষে সরকারি জল্লাদ রূপে কর্মরত ছিলেন দুজন  |   প্রথম জনের নাম নাটা মল্লিক দ্বিতীয় জনের নাম পবন জল্লাদ | ২০০৯ সালে মারা যান নাটা মল্লিক |  বর্তমানে ভারতবর্ষে সরকারিভাবে নিযুক্ত জল্লাদ রয়েছেন শুধুমাত্র একজন |  সরকারিভাবে ইনার বেতন  ৭০০০ টাকা  | এছাড়া যেই রাজ্য এনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার জন্য ডাকে সেই রাজ্য থেকে অতিরিক্ত ২৫০০০  টাকা নিয়ে থাকেন |  ভারতবর্ষে জল্লাদ হয় বংশপরম্পরায় |

 নাটা মল্লিক

১০০ জনের মত সাজা দেওয়ার পরে তিনি মারা যান ৮৯ বছর বয়সে | ২৫ বছর কাজ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে | যুবক অবস্থায় নাটা মল্লিক যখন জল্লাদের দলে থেকে কাজ করতেন, তখন নাকি ব্রিটিশ সরকার স্বাধীনতা সংগ্রামী মাস্টারদা সূর্য সেন কে ফাঁসি  দিয়েছিল |

 পবন জল্লাদ

ভারতবর্ষে এখন সরকারি জল্লাদ মাত্র একজন তার নাম পবন জল্লাদ (পবন কুমার )|  বর্তমানে তিনি উত্তরপ্রদেশের মিরাট জেলে কার্যরত | তবে কাজের জন্য অন্যান্য রাজ্যে-ও তাকে ডেকে থাকেন  | নির্ভয়া কাণ্ডের দোষীদের ইনি ফাঁসি দিয়েছিলেন |   ইনার ঠাকুরদার নাম ছিল কালু জল্লাদ,   তিনি নাকি ব্রিটিশ সরকারের হয়ে কাজ করতেন |   ইনার পিতা মামু জল্লাদ কাজ করতেন দিল্লির তিহার জেলে | 

জানলে অবাক হবেন ফাঁসিদেওয়ার রশি তৈরি করে থাকেন আসামীরাই ,যা তৈরি হয় বিহারের বক্সার জেলে | তবে জল্লাদ পেশার বাইরে এরা আমাদের মত সাধারণ মানুষ |