জোড়া বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল সোমালিয়ার রাজধানী, নিহত ১৫০

ঘটনায় প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মাহমুদ জঙ্গিগোষ্ঠী অল-শাবাবের  দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।

জোড়া বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল সোমালিয়ার রাজধানী,  নিহত ১৫০

 ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশু। রাজধানী  শহরে জঙ্গি হানা এবং জোড়া গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে  অন্তত ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় জখম হয়েছেন অন্তত ৩০০ জন। শিক্ষামন্ত্রকের কাছেই দুটি গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। এখনও পর্যন্ত এই হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনও জঙ্গি সংগঠন। 

 ঘটনায় প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মাহমুদ জঙ্গিগোষ্ঠী অল-শাবাবের  দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। লক্ষণীয় বিষয় হল, অল-শাবাবও সচরাচর এই ধরনের কোনও হামলার ক্ষেত্রে দায় স্বীকার করে না।  সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, 'যাঁদের প্রাণ গিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে সন্তান কোলে নিয়ে মা, অসুস্থতায় ধুঁকতে থাকা পিতা, বাইরে থেকে লেখাপড়া করতে আসা পড়ুয়া, ব্যবসায়ী-সকলেই ছিলেন।' 

প্রত্যক্ষদর্শীদের একাশ জানাচ্ছেন, দুটি বিস্ফোরণের প্রথমটি একেবারে শিক্ষা দফতরের গায়েই ঘটেছিল। অ্যাম্বুল্যান্স এসে যখন জখমদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় করছে, তখনই ঘটে দ্বিতীয় বিস্ফোরণ। চোখের পলকে আশপাশের এলাকার বেশ কিছু জানলার কাচ ভেঙে চায়। শিক্ষা দফতরের টারম্যাক লাগোয়া এলাকায় রক্তের বন্যা বইতে শুরু করে। চার দিকে আর্ত-চিৎকার, লাশের স্তূপ। পর্যবেক্ষকদের অনেকে মনে করাচ্ছেন, ঠিক এক এলাকায় সোমালিয়ার ইতিহাসের বৃহত্তম বিস্ফোরণটি ঘটেছিল।

 সালটি ২০১৭। সে বারের বিস্ফোরণে অন্তত ৫০০ জনের প্রাণ যায়। জঙ্গিরা একটি ট্রাক-বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রক্তসমুদ্র তৈরি করেছিল মোগাদিশুর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজপথে। ওই এলাাকায় একাধিক সরকারি অফিস, রেস্তোরাঁ ও কিয়স্ক থাকায় পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে।

প্রেসিডেন্ট মাহমুদের আশঙ্কা, এদিন যে জোড়া বিস্ফোরণ হয়েছে তাতে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এর অভিঘাত যাতে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় সে জন্য সরকারি তরফে উদ্ধারকারীদের দ্রুত তৎপর হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 প্রসঙ্গত, চলতি বছরেই প্রেসিডেন্ট পদে বসেছেন মাহমুদ। তাঁর দাবি ছিল, সমানে অল-শাবাবকে টক্কর দিচ্ছে তাঁর দেশ। ঘটনা হল, মাঝেমধ্যেই সোমালিয়ার রাজধানী লক্ষ্য করে হামলা চালায় এই জঙ্গিগোষ্ঠী। দেশের বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ এখনও এই সংগঠনের হাতে। তাদের কাছ থেকে সোমালিয়ার নিয়ন্ত্রণ ফেরাতেই নিয়মিত লড়ছে সরকার। 

এর মধ্যেই এই হামলা। প্রসঙ্গত, গত অগাস্টে মোগাদিশুর একটি হোটেলে অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় একাধিক ব্যক্তি। তখন ১১ জনের প্রাণ যায়।