চিরবিদায়, প্রয়াত প্রাক্তন অলিম্পিয়ান বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়
স্বাভাবিকভাবেই বদ্রুর মৃত্যুতে ময়দানে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন প্রাক্তন অলিম্পিয়ান সময় বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার রাত ২টো ১০ মিনিট নাগাদ সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ভারতীয় ফুটবলের এই কিংবদন্তী খেলোয়াড়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ৯২ বছর। ২০ অগস্ট, শনিবার এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই প্রাক্তন অলিম্পিয়ান। স্বাভাবিকভাবেই বদ্রুর মৃত্যুতে ময়দানে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
উল্লেখ্য, ২৭ জুলাই অ্যালঝাইমার্স, উচ্চ রক্তচাপ এবং অ্যাজোটেমিয়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। রাজ্যের যুব ও ক্রীড়া দফতর এবং মোহনবাগান ক্লাবের সহযোগিতায় অলিম্পিয়ান বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। আলাদা মেডিক্যাল বোর্ডও তৈরি হয়। দুজন নিউরোলজিস্টও তাঁর চিকিৎসা করছিলেন। সিটি স্ক্যানে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণও দেখা যায়। এরপর বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়কে এমার বাঙ্গুর নিউরোসায়েন্সে স্থানান্তরিত করা হয়।
প্রায় ২৪ দিনের লড়াইয়ের পর শনিবার ভোররাতে প্রয়াত হলেন বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়। পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়, চুনি গোস্বামী, সুভাষ ভৌমিক, সুরজিৎ সেনগুপ্তর পর বাংলার ফুটবল হারাল আরও এক কিংবদন্তিকে। ১৯৫২-৫৯ সাত বছর মোহনবাগানের হয়ে খেলেছেন বদ্রু। ১৯৫৬ সালে মেলবোর্ন অলিম্পিকে দেশের হয়ে খেলেছিলেন প্রাক্তন স্ট্রাইকার। সে বছর অলিম্পিকে চতুর্থ হয় ভারত। সেই বদ্রু এ বার থামলেন। মোহনবাগানের হয়ে ট্রফির বন্যা বইয়ে দিয়েছেন। ডুরান্ড কাপ জিতেছেন ১৯৫৩-এ। কলকাতা ফুটবল লিগ জিতেছেন চারবার (১৯৫৪, ১৯৫৫, ১৯৫৬, ১৯৫৯)। তার নামের পাশে আইএফএ শিল্ড তিনবার (১৯৫২, ১৯৫৪, ১৯৫৬)। রোভার্স কাপ জিতেছেন ১৯৫৬-এ। ক্লাবের হয়ে দুর্ধর্ষ পারফর্মার শুধু নয়। দেশের হয়েও আলো ছড়িয়েছেন। ১৯৫৬ মেলবোর্ন অলিম্পিকে ভারতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক ঘোষিত হন তিনি। দেশের হয়ে জিতেছেন কলম্বো কাপ-ও।