Last Updated on [modified_date_only] by Debu Das
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে সংসদ ভবনে শুরু হয়েছে ভারতের ১৪তম উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ(Vice Presidential Election)। ভোট দেওয়ার প্রথম ব্যক্তি হিসেবে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এরপর কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভোট দেন। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গडकরিও তাঁদের ভোট প্রদান করেন। সন্ধ্যা ৫টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ, এর এক ঘণ্টা পরেই শুরু হবে গণনা। রাতের মধ্যেই দেশ পাবে নতুন উপরাষ্ট্রপতি ও রাজ্যসভার চেয়ারপার্সন।
খালি আসনে নতুন লড়াই (Vice Presidential Election)
গত ২১ জুলাই স্বাস্থ্যজনিত কারণে জগদীপ ধনখড় উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন(Vice Presidential Election)। তাঁর পদত্যাগপত্র সঙ্গে সঙ্গেই কার্যকর হয়। এর ফলে শূন্য হওয়া আসন ঘিরে শুরু হয় নতুন লড়াই, যা এবার সরাসরি মুখোমুখি করেছে এনডিএ ও ইন্ডিয়া জোটকে।
প্রার্থীদের পরিচয় ও রাজনৈতিক বার্তা(Vice Presidential Election)
এনডিএ প্রার্থী সি পি রাধাকৃষ্ণন, ৬৮ বছর বয়সি, দু’বারের লোকসভার সাংসদ এবং বর্তমানে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল(Vice Presidential Election)। তিনি গাউন্ডার-কোঙ্গু ভেল্লালার ওবিসি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। অপরদিকে, ইন্ডিয়া ব্লকের প্রার্থী ৭৯ বছর বয়সি অবসরপ্রাপ্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি সুধর্শন রেড্ডি। ছত্তিশগড়ে সালওয়া জুডুমের বিরুদ্ধে তাঁর ঐতিহাসিক রায় এবং কালো টাকা সংক্রান্ত মামলায় কঠোর অবস্থান তাঁকে বিশেষভাবে আলোচনায় এনেছিল।
ভোটের আগে রাধাকৃষ্ণন বলেন, এই নির্বাচন হবে “ভারতীয় জাতীয়তাবাদ ও বিকশিত ভারতের দৃষ্টিভঙ্গির বিজয়”। অন্যদিকে বিচারপতি রেড্ডি জানান, তিনি মানুষের “অন্তর্দৃষ্টি জাগ্রত করার চেষ্টা” করছেন।

আরও পড়ুন : Nepal Gen Z Protest : প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে আগুন! ইস্তফা নেপালের কৃষিমন্ত্রীর
সংখ্যার অঙ্কে লড়াই(Vice Presidential Election)
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নির্বাচকমণ্ডলী ৭৮১ জন সাংসদ নিয়ে গঠিত—লোকসভায় ৫৪২ ও রাজ্যসভায় ২৩৮(Vice Presidential Election)। তবে বি আর এস এবং বিজেডি ভোটদানে বিরত থাকায় কার্যকর ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৭০ জন, যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৩৮৬ ভোট।
ভোট হচ্ছে গোপন ব্যালটে, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ও সিঙ্গল ট্রান্সফারেবল ভোট পদ্ধতিতে। এমপিদের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় পছন্দ উল্লেখ করতে হয়। অস্পষ্ট বা ভুলভাবে পূরণ করা ব্যালট বাতিল হবে। যেসব সাংসদ বর্তমানে প্রতিরোধমূলক হেফাজতে আছেন, যেমন শেখ আবদুল রশিদ ও অমৃতপাল সিং, তাঁরা ডাকযোগে ভোট দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন : Nepal Gen Z Protest : প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন কেপি শর্মা অলি! আজই পালবেন দেশ ছেড়ে?
এনডিএর শক্তি বনাম ইন্ডিয়া ব্লকের চ্যালেঞ্জ (Vice Presidential Election)
কাগজে-কলমে এনডিএর সমর্থন রয়েছে ৪২৫ জন এমপির(Vice Presidential Election)। এর সঙ্গে ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবং সম্ভবত আম আদমি পার্টির সাংসদ স্বাতি মালীওয়ালের সমর্থন মিলে সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৪৩৬। অন্যদিকে ইন্ডিয়া ব্লকের ঝুলিতে রয়েছে ৩২৪ ভোট। কিছু নির্দল ও ছোট দলীয় সাংসদ এখনও অবস্থান পরিষ্কার করেননি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এবার ব্যবধান ২০২২ সালের তুলনায় কম হতে পারে। জগদীপ ধনখড় জিতেছিলেন ৩৪৬ ভোটের ব্যবধানে, তবে এবার পার্থক্য ১০০ থেকে ১২৫ ভোটে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে। গোপন ভোটের কারণে ক্রস ভোটিংয়ের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
রাজনৈতিক গুরুত্ব ও ভবিষ্যতের ইঙ্গিত (Vice Presidential Election)
উপরাষ্ট্রপতি একই সঙ্গে রাজ্যসভার চেয়ারপার্সন। ফলে কে নির্বাচিত হচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করবে সংসদের কার্যকারিতা(Vice Presidential Election)। যদিও এনডিএর সংখ্যাগরিষ্ঠতা স্পষ্ট, তবুও কম ব্যবধান বা ক্রস ভোটিং ইন্ডিয়া ব্লকের প্রার্থীর জন্য নৈতিক জয় হতে পারে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ফল ভবিষ্যতের রাজনৈতিক ভারসাম্য ও সংসদের অধিবেশনগুলোতে ক্ষমতার লড়াইয়ের ইঙ্গিত বহন করবে।