ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: রাত পোহালেই তৃণমূলের শহিদ সমাবেশ। শহরজুরে সাজ-সাজ রব। ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ ২১ জুলাই (21 July Preparation) হওয়ায় সমাবেশ ঘিরে থাকছে বাড়তি গুরুত্ব। ফলে সাধারণ মানুষের আগ্রহ অন্যান্য বারের তুলনায় একটু বেশি। সভাতে যোগ দিতে শুক্রবার থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকেরা দলে দলে কলকাতায় আসতে শুরু করেছেন। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগণা, সব জেলা থেকেই আসতে শুরু করেছেন দলীয় সমর্থকেরা।
গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে বিশাল বন্দোবস্ত (21 July Preparation)
সোমবার ধর্মতলার সমাবেশে অংশ নিতে লাখো মানুষের ঢল নামবে শহরে। দক্ষিণ কলকাতার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম এখন রীতিমতো রাজনৈতিক কর্মীদের অস্থায়ী আবাস। প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার কর্মী-সমর্থকের জন্য থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। গোটা বিষয়টি সরাসরি তদারকি করছেন কলকাতা পুরসভার বোরো চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষ।
তিনি জানিয়েছেন, “প্রতি বছরই আমরা এই আয়োজন করি। এবারও কোনও খামতি রাখিনি। কর্মীদের থাকার, খাওয়ার, এমনকি চিকিৎসার জন্যও সবরকম ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।”
মালদা-মুর্শিদাবাদ থেকে আসা কর্মীদের দখলে শিবির (21 July Preparation)
এই শিবিরে ইতিমধ্যেই প্রায় দু’হাজার মানুষ এসে পৌঁছেছেন। শিবির চত্বরে সাজানো হয়েছে তৃণমূলের পতাকা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে। অসুস্থ হলে যাতে দ্রুত চিকিৎসা পাওয়া যায়, তার জন্য রয়েছে মেডিকেল টিম ও ওষুধের বন্দোবস্ত। এছাড়াও বিশাল হ্যাঙ্গারের ব্যবস্থা করা হয়েছে মাঠ জুড়ে। জানা গিয়েছে, স্টেডিয়ামের দু’টি গেট দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা স্টেডিয়ামে ঢুকতে পারবেন। দু’টি মেডিক্যাল ক্যাম্প-সহ অ্যাম্বুল্যান্স থাকবে।
আরও পড়ুন: Weather Forecast: আবার বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে, উত্তরবঙ্গেও দুর্যোগের আশঙ্কা!
শিশুদের জন্য আলাদা দুধের ব্যবস্থা ও মহিলাদের জন্য আলাদা থাকার বন্দোবস্তও রাখা হয়েছে। খাদ্য তালিকায় আছে ডিম, ডাল ও আলু-সোয়াবিনের তরকারি, যা সকলের উপযোগী ও সহজ পাচ্য। মূলত মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলার কর্মীরাই এই শিবিরে রয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে তাঁরা গর্বিত, আর এই ব্যবস্থায় তাঁরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন।