ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: শনিবার কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে আইপিএলের (IPL Ticket Black) প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হতে চলেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স (Kolkata Knight Riders) এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (Royal Challengers Bangaluru)। দুই হেভিওয়েট দলের খেলা দেখতে টিকিটের চাহিদা স্বাভাবিক ভাবেই অনেক। তাই টিকিটের কালোবাজারির খবরও উঠে আসছে সামনে। খবর পেয়ে কলকাতা-ব্যাঙ্গালুরু ম্যাচের টিকিট চড়া দামে বিক্রির অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ।
উদ্ধার হয় মোট ২১টি টিকিট (IPL Ticket Black)
গিরিশ পার্ক থানায় টিকিট ব্ল্যাকের (IPL Ticket Black) অভিযোগ প্রথম দায়ের করেছিলেন ধীরাজ মালি নামের এক যুবক। এছাড়াও টিকিট ব্ল্যাক নিয়ে আরও একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল নিউ মার্কেট থানায়। তার ভিত্তিতেও পদক্ষেপ করে পুলিশ। শুক্রবার গভীর রাতে মিত্র লেন থেকে দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় মোট ২১টি টিকিট (match ticket), দু’টি মোবাইল (mobile) ফোন এবং নগদ ২০ হাজার ৬০০ টাকা।
শনিবারের ম্যাচের ছ’টি টিকিট (IPL Ticket Black)
এছাড়াও নিউ মার্কেট (New Market) এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় একজনকে । তাঁর কাছ থেকে শনিবারের ম্যাচের ছ’টি টিকিট উদ্ধার করা হয়েছে। টিকিট ব্ল্যাক (IPL Ticket Black) নিয়ে আরও একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল নিউ মার্কেট থানায়। তার ভিত্তিতেও পদক্ষেপ করে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ইচ্ছামতো দামে টিকিট বিক্রি
জানা গিয়েছে, অনেকগুলো টিকিট একসঙ্গে কিনে রেখেছিলেন অভিযুক্তরা। টিকিট খতম হয়ে যেতেই পরিকল্পনা মতো ইচ্ছামতো দামে সেই টিকিট বিক্রি করা শুরু করেন তাঁরা। গিরিশ পার্ক এবং নিউ মার্কেট থানায় অভিযোগ দায়ের হতেই পীযূষ মহেন্দ্র, কমল হোসেন এবং শাহাবাজ খান নামে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
সমাজমাধ্যমের পোস্ট দেখে টিকিট
জানা যাচ্ছে আশিস শর্মা নামের এক ব্যক্তির সমাজমাধ্যমের পোস্ট দেখে আইপিএলের টিকিট কেনার জন্য তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তাঁর কথা অনুযায়ী, গিরিশ পার্ক এলাকায় যান ধীরাজ। সেখানে পীযূষের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। ২০ হাজার টাকা দেওয়ার পর পীযূষ তাঁকে একটি খাম দেন। তার ভিতরে মোট চারটি টিকিট ছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছেন ধীরাজ। ওই চারটির মধ্যে দু’টি টিকিটের দাম দু’হাজার টাকা। বাকি দু’টি টিকিট বিনামূল্যে প্রাপ্ত। তিনি জানান যাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে টিকিট কিনতে এসেছিলেন তিনি, সেই আশিসকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। এর পর গিরিশ পার্ক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ধীরাজ।