ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট (SSC 2016 Panel Cancel)। চাকরি হারালেন ২৬ হাজার জন। বাছাই করা গেল না যোগ্য-অযোগ্য। তাই ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলই বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে কোথাও ৫০ শতাংশ, কোনও স্কুলে ৫৬ শতাংশ শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন। এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা অর্জুনপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এখানে ৬৫ জন শিক্ষকের মধ্যে ৩৬ জনেরই চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
সমস্যার মুখে ফরাক্কা অর্জুনপুর হাই স্কুল (SSC 2016 Panel Cancel)
মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা অর্জুনপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট ৬৫ জন শিক্ষকের মধ্যে ৩৫ জনেরই চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছে বৃহস্পতিবার, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে (SSC 2016 Panel Cancel)। বাতিল হয়েছে চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষাকর্মীর চাকরিও। ৯৫০০ ছাত্রছাত্রীর ভরসা এখন ৩০ জন শিক্ষক, ৭ জন প্যারাটিচার। সমস্যার মুখে ফরাক্কা অর্জুনপুর হাই স্কুল। এরই মধ্যে মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা দেখা রয়েছে। এক ধাক্কায় এত জন শিক্ষক শিক্ষিকা চলে যাওয়ায় সমস্যায় পড়ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
২০১৬ সালের গোটা প্যানেলই বাতিল (SSC 2016 Panel Cancel)
বাছাই করা গেল না যোগ্য-অযোগ্য। তাই ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলই বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ। কেবল শিক্ষক পদেই নয়, চাকরিহারাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত শিক্ষাকর্মী পদে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু এক ধাক্কায় বিপুল পরিমাণ চাকরি বাতিল হওয়ায় সমস্যার মুখে স্কুলগুলো।
আরও পড়ুন: SSC 2016 Panel Cancel: সুপ্রিম নির্দেশে বাতিল ১৬-এর প্যানেল, চাকরি থাকল কেবল একজনের
তিনটে স্কুলের পরিস্থিতি এমনই
ফরাক্কার অন্তত তিনটে স্কুলের পরিস্থিতি এমনই। নিউ ফরাক্কা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩৪ জন শিক্ষক ছিলেন। তার মধ্যে বৃহস্পতিবার ‘সুপ্রিম’ রায়ে চাকরি গিয়েছে ১১ জনের। তার চেয়েও বড় তথ্য, এই স্কুলের উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ৩ জন শিক্ষক ছিলেন। একজন এডুকেশন, একজন দর্শন ও আরেকজন আরবি। শীর্ষ আদালত ২৬ হাজার শিক্ষকের প্যানেল বাতিল করায় চাকরি গেল তাঁদের দু’জনেরই। এই স্কুলে এবার থেকে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি কীভাবে চলবে, তা ভেবে মাথায় হাত স্কুল কর্তৃপক্ষের।
পড়াশোনার অদূর ভবিষ্যত অন্ধকার
ফরাক্কার একমাত্র মহিলা স্কুল স্বর্ণময়ী বালিকা বিদ্যালয়ের ১৭০০ জন ছাত্রীকে পড়ানোর ভার ছিল দশজন শিক্ষিকার উপর। তার মধ্যে ৫০ শতাংশ অর্থাৎ ৫ জনেরই চাকরি বাতিল হয়েছে। চাকরি খুইয়েছেন এক অশিক্ষক কর্মীও। এসব স্কুলে পড়াশোনার অদূর ভবিষ্যত অন্ধকারে, তা বলাই বাহুল্য। ঝাড়খণ্ড লাগোয়া ফরাক্কার বাহাদুরপুর উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলটি মূলত আদিবাসী, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১৬ জন। ৯ শিক্ষক ও ৩ জন প্যারাটিচার ছিলেন এতদিন। আজ, শীর্ষ আদালতের রায়ে বাতিল হল ৪ শিক্ষক ও একজন অশিক্ষক কর্মীর চাকরি।