ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: উত্তর প্রদেশে (Uttar Pradesh) ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। ভারতের উত্তরপ্রদেশে পাঁচ বছরের এক মেয়ে শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে এবং তার দেহ চার টুকরো করা হয়! যিনি অভিযুক্ত তিনি আর কেউ নয়, খোদ শিশুটির বাবা! এদিকে, খুনের কারণ জেনে হতবাক পুলিশও। এই খুনের ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
হত্যার কথা স্বীকার করেন (Uttar Pradesh)
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি শিশুকন্যার নিখোঁজ মামলা দায়ের হয়েছিল (Uttar Pradesh)। তদন্তে নামলে তার দেহাংশ মেলে। পরদিন দেহের বাকি অংশ পাওয়া যায়। বোঝাই যাচ্ছিল তাকে খুন করা হয়েছে। এর পর গ্রামে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতেই বউয়ের কাছে ফোন রেখে পালিয়ে গিয়ে গা ঢাকা দেন অভিযুক্ত মোহিত। পরে ফিরে এলে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে মুখে ভেঙে পড়েন তিনি। মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
প্রতিবেশীর ঝামেলা ছিল (Uttar Pradesh)
সীতাপুরের বাসিন্দা মোহিত মিশরার সঙ্গে তার প্রতিবেশীর ঝামেলা ছিল (Uttar Pradesh)। কিন্তু তার ৫ বছরের মেয়ে তানিকে তারা খুবই ভালোবাসত। তানিও মাঝেমধ্যে তাদের বাড়িতে যেত। বারণ করা সত্ত্বেও প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়েছিল পাঁচ বছরের শিশুকন্যা। এই অপরাধে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠল খোদ বাবার বিরুদ্ধে। এমনকী রাগের তীব্রতায় খুনের পর শিশুর দেহ চার টুকরো করেন ওই যুবক। ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত যুবককে।
আরও পড়ুন: Judge Comment: ‘মঙ্গলসূত্র নেই সিঁদুর পরেননি, স্বামী কেন আগ্রহ দেখাবে?’ মহিলাকে প্রশ্ন বিচারকের
নিষেধ সত্ত্বেও প্রতিবেশীর বাড়িতে মেয়ে
মোহিত পুলিশকে জানিয়েছেন যে, তাঁর পরিবার এবং প্রতিবেশী রামুর পরিবার আগে খুব ঘনিষ্ঠ ছিল এবং প্রায়শই একে অপরের সঙ্গে দেখা করতে যেত। কিছুদিন আগে, দুটি পরিবারের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল এবং তাঁরা একে অপরের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করে দিয়েছিল। মোহিত বারবার তাঁর মেয়েকে রামুর বাড়িতে যেতে নিষেধ করেছিলেন। ঘটনার দিন মোহিত দেখে যে তার মেয়ে প্রতিবেশী রামুর বাড়ি থেকে ফিরছে। এটি দেখে সে অত্যন্ত ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। রাগের মাথায় সে মেয়েকে বাইকে বসিয়ে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায় এবং তার নিজের কাপড় ব্যবহার করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর দেহ টুকরো টুকরো করে সর্ষে ক্ষেতে ফেলে দিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: Supreme Court: ১৬ বছরের লিভ-ইনের পর ধর্ষণের অভিযোগ, মামলা খারিজ সুপ্রিম কোর্টের
বাবা-ই থানায় নিরুদ্দেশ অভিযোগ
পুলিশ জানিয়েছে যে, গত ২৫শে ফেব্রুয়ারি তাদের জানানো হয়েছিল যে- শিশুটি তার বাড়ির কাছে থেকে নিখোঁজ হয়েছে। ওই নিখোঁজ মেয়েটির বাবা মোহিত-ই থানায় নিরুদ্দেশ অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রবীণ রঞ্জন সিং বলেন, “আমরা একটি মামলা দায়ের করেছি এবং মেয়েটিকে খুঁজে বের করার জন্য চারটি দল গঠন করা হয়েছিল। তল্লাশির সময়, আমরা মেয়েটির দেহের একটি টুকরো পেয়েছিলাম। পরের দিন, আমরা দেহের অন্যান্য অংশ উদ্ধার করি। এখন পর্যন্ত, এটা স্পষ্ট যে তাকে হত্যা করা হয়েছে।”
হত্যা করে মৃতদেহ ফেলে দেয়
প্রবীণ রঞ্জন সিং সব শেষে বলেন, “বাবা তাঁর স্ত্রীকে ফোন দিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান। যখন তিনি নিখোঁজ হন, তখন আমরা পরিবারের সদস্য-সহ প্রতিবেশী প্রায় ১০০ জনকে শিশুটির নিখোঁজের আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করি। বাবা যখন ফিরে আসেন, তখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং অবশেষে তিনি মেয়েটিকে হত্যা করে মৃতদেহ ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন।”