ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: প্রশস্ত হবে সিকিমের রাস্তা (West Bengal To Sikkim Road)। বিকল্প সড়কের কিছু অংশ প্রশস্ত হলে এই রাস্তা দিয়ে উত্তরবঙ্গ ও সিকিমের মধ্যে যান চলাচল আরও সুগম হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সিকিমগামী বিকল্প জাতীয় সড়ক ৭১৭ A (NH 717 A) সম্প্রসারণে বিপুল বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক। দুই ভাগে ২৩ কিলোমিটারের কিছু রাস্তা সম্প্রসারণ করতে বরাদ্দ করা হয়েছে ৭৭০ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা।
রাস্তা প্রায়শই ধসের কারণে বিপর্যস্ত (West Bengal To Sikkim Road)
শিলিগুড়ি থেকে সেবক পাহাড় অতিক্রম করে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে সিকিমের গাড়ি চলাচল করে। সিকিমের জন্য এই রাস্তাকে লাইফ লাইনও বলা হয়। কিন্তু বর্ষার সময় এই রাস্তা প্রায়শই ধসের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। দিনের পর দিন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে থাকে সিকিম। এই অসুবিধে এড়াতেই কেন্দ্রের কাছে সিকিমের জন্য অল ওয়েদার রোড তৈরির দাবি জানানো হয়। সেই মতো ডুয়ার্সের বাগরাকোট থেকে লাভা হয়ে সিকিমের গ্যাংটক পর্যন্ত বিকল্প ৭১৭ এ জাতীয় সড়ক (West Bengal To Sikkim Road) তৈরির পরিকল্পনা করে কেন্দ্র।
বিকল্প রাস্তাই হবে নির্ভরযোগ্য (West Bengal To Sikkim Road)
এর মধ্যে লাভা মোড় থেকে পেডং বাইপাস পর্যন্ত ১৮.৪২ কিলোমিটার রাস্তা এবং রেশি থেকে রেনক পর্যন্ত ৫.২ কিলোমিটার রাস্তা। আর এই দুই অংশ মিলিয়ে মোট ২৩.৬ কিলোমিটার রাস্তা চওড়া করা হবে বলে জানা যাচ্ছে (West Bengal To Sikkim Road)। ফলে বর্ষাকালে যেসব জায়গা ধস নেমে বন্ধ থাকে, সেই বিকল্প রাস্তাই হবে এবার সব থেকে নির্ভরযোগ্য হবে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: পশ্চিমবঙ্গে জিএসটি আদায়ে নতুন মাইলফলক, মুখ্যমন্ত্রীর মুখে চওড়া হাসি!
সিকিমের সঙ্গে বাকি দেশের সড়ক যোগাযোগ
কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়করী সমাজমাধ্যমে জানিয়েছেন এই খবর। গত বৃহস্পতিবারই সংসদে নিতিন গড়করির ঘরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন সিকিমের সাংসদ ইন্দ্রহাং সুব্বা। ওই বৈঠকেও তিনি সিকিমের সঙ্গে বাকি দেশের সড়ক যোগাযোগের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে দু’জনের।
যোগাযোগ আরও উন্নত হবে
দার্জিলিং জেলার করোনেশন সেতু বা বাঘপুল থেকে সিকিমের গ্যাংটক পর্যন্ত যোগাযোগের ‘লাইফলাইন’ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। টানা বৃষ্টির সময়ে এই রাস্তার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশ ধসের কবলে চলে যায়। এই পরিস্থিতিতে গরুবাথান, রিশপ হয়ে সিকিম যাওয়ার রাস্তা আরও প্রশস্ত হলে বর্ষার মরসুমে পাহাড়ি রাজ্যের সঙ্গে সমতলের যোগাযোগ আরও উন্নত হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।