ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: শহরে একাধিক জায়গায় হেলে পড়ছে বাড়ি (Kolkata Building Tilt)। আতঙ্কে কলকাতাবাসী। চলছে চাপানউতোর। কিন্তু কেন হচ্ছে এমন পরিস্থিতি? কতটা বিপদজলক অবস্থায় রয়েছে ত্রিশতবর্ষ পুরোনো এই শহর? সমাধান কোন পথে? পড়ুন ট্রাইব টিভি বাংলার বিশেষ প্রতিবেদন।
গার্ডেনরীচ, বাঘাযতীন,ট্যাংরা কোথাও ভেঙে পড়ছে বহুতল, কোথাও বা হেলে পড়ছে। উল্টোডাঙা,সিআইটি রোড,মানিকতলাতেও এমন ঘটনা ঘটছে। আতঙ্ক গ্রাস করছে শহরবাসীকে। কিন্তু কেন তৈরি হচ্ছে এমন পরিস্থিতি। বিশেষজ্ঞরা কিন্তু জানাচ্ছে পরিস্থিতি ষথেষ্ঠ উদ্বেগজনক,তার প্রধান কারণ কলকাতার মাটির গুনগত মান। মূলত পলিজাতীয় নরম মাটি এখানে। ফলে তার ধারণ ক্ষমতা অন্যান্য শহরের থেকে কম (Kolkata Building Tilt)।
কেন হেলে পড়ছে একের পর এক বহুতল (Kolkata Building Tilt):-
সমস্ত জায়গা কনক্রিট হয়ে যাওয়ার ফলে বৃষ্টির জল মাটির নীচে প্রবেশ করতে পারছে না,এর ফলে জলস্তরও নেমে যাচ্ছে বিভিন্ন জায়গা। সামগ্রিক এই পরিস্থিতি থেকে বেরাতে গেলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন একধিক যেমন বিল্ডিংগুলির (Kolkata Building Tilt) মধ্যে ব্যবধান বাড়ানো প্রযোজন, তেমন দরকার পরিকল্পনা ও সচেতনতা। তবে আদও কী তা হবে? নাকি আরও বিপদের দিকে এগিয়ে যাবে তিলোত্তমা।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/tollywood-artists-reaction-on-rg-kar-murder-case/
এদিকে, বিধাননগর পুরনিগমের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাগুইহাটির জগতপুর নেতাজি পল্লীতে দেখা গেল সেই ছবি। দুটি বিল্ডিং হেলে পড়েছে। দেখে মনে হচ্ছে একটি বিল্ডিং Kolkata Building Tilt) অপর বিল্ডিং-এর গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সেই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ঝিনুক মণ্ডল বাড়ি দুটি র হেলে পড়ার ঘটনা জানিয়ে বিধাননগর পুরনিগমে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, তাঁর আমলে এই সব বাড়ি তৈরি হয়নি। কাউন্সিলর বলেন, “আমি নিজেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। কড়া পদক্ষেপ করব। অনুমতি ছাড়া কোনও বিল্ডিং করতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে কারও ব্যক্তিগত বাড়িতে আমরা হাত দিতে পারি না।”
আরও পড়ুন: https://www.youtube.com/watch?v=pJsWCscS_mA&ab_channel=TribeTV
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুকুর বুজিয়ে মাত্র কয়েক ছটাক জমির উপরেই গড়ে উঠেছে এই বাড়িগুলো (Kolkata Building Tilt)। কয়েক বছরের মধ্যেই একে অপরের গায়ে হেলে পড়ছে সেগুলি। বিপজ্জজনকভাবে দাঁড়িয়ে থাকা বাড়ির মালিক মিঠুন কর এই বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি। যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে, এমনটাই আশঙ্কা স্থানীয় কাউন্সিলরের।