ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সুব্রত বারিষওয়ালা (Subrata Barishwala ), এখন যাঁকে সিনে জগতের লোকজন চেনে বারিষ বলে (Barish)। একের পর এক হিট গানের লিরিসিস্ট। তাঁর গলায় এবার কিছুটা অভিযোগ এবং অভিমানের সুর। সোশ্যাল মিডিয়ায় কথা বললেন ন্যায্য অধিকার নিয়ে। শিল্পী যিনি লিখছেন, তিনি কি তার যথার্থ মূল্য পাচ্ছেন? যে গান শুনে মানুষ মুগ্ধ হয়ে যায়, সেই গানের লিরিসিস্ট কে, তার খোঁজ কজন রাখেন? সম্প্রতি বারিষ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি চ্যাটের স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন। বারিষ মনে করেন, সমস্ত গানে কম্পোজার সহ গায়কের নাম থাকা যতটা জাস্টিফায়েড, ততটাই লিরিসিস্টেরও। এ বিষয়ে বারিষকে অনেকেই সাপোর্ট করেছেন। এই মুহূর্তে কী চাইছেন তিনি? জানালেন ট্রাইব টিভিকে।
শুধু অর্থের জন্য কাজ করেন না (Barish)
বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে অনেক ভালো গান লেখা উপহার দিয়েছেন বারিষ (Barish)। সেই তিনি ইন্ডাস্ট্রির কিছু বিষয় নিয়ে বিরক্ত। তিনি কোনও অভিমান করছেন না। তবে মনে করছেন, যে কাজটা তিনি পরিশ্রমের সঙ্গে করেছেন সেই কাজের একটা ক্রেডিট থাকা উচিত। তাঁর মতে ” আমরা শুধু অর্থের জন্য কাজ করি না। সবাই চায় তার নিজের কাজ নিজের নামে পরিচিতি পাক। আমি চাই দিন শেষে যে কাজগুলোর সঙ্গে, আমার নাম জড়িয়ে রয়েছে, যেগুলো আমি লিখেছি, সেখানে আমার নাম যাক”।
যথার্থ মর্যাদা পাচ্ছেন না বহু শিল্পী! (Barish)
টেক্কা ছবির ক্ষেত্রে কিন্তু সৃজিত মুখার্জি নিজে বারিষের (Barish) নাম নিয়েছেন। বারিষের কথায়, “এক্ষেত্রে কিছু ব্যতিক্রম মানুষ আছেন। তার মধ্যে সৃজিত দা একজন। রণজয় দা, সানাই দা, ইশান দা এরা কিন্তু চেষ্টা করে, যখন অন্তত কোথাও নাম যাচ্ছে না, অন্তত একবার নক করে জানায় যে নামটা কিন্তু দেওয়া হয়নি। সৃজিত দা কোনও ইভেন্ট থাকলে নিজে ডাকে। এরকম বেশ কিছু জন রয়েছে কিন্তু এই সংখ্যাটা ঘুরেফিরে বারবার বলা যাচ্ছে, এরকম কেন হবে? এর বাইরেও তো অনেক কাজ করছি। এই কথাটা আমি সবার হয়েই বলছি। শুধু আমার জন্য হচ্ছে, এটা তো নয়। যারা লেখার পেশার সঙ্গে যুক্ত, প্রতিটা ক্ষেত্রে হচ্ছে। সেটা স্টোরি রাইটার হতে পারে, স্ক্রিপ্ট রাইটার হতে পারে, সবার ক্ষেত্রে”।
আরও পড়ুন: Binodiini: বলিউডেও প্রশংসিত ‘বিনোদিনী’, শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসছেন রুক্মিণী
একজোট হয়ে কথা বলা দরকার
ট্রাইব টিভির সঙ্গে কথা বলার সময় বারিষ জানান, যে হোয়াটস অ্যাপের চ্যাটটা তিনি শেয়ার করেছেন, প্রকৃতপক্ষে সেটা ইন্ডাস্ট্রির এক কম্পোজারের। বারিষের খারাপ লাগাটা ওখানেই। কম্পোজার বলতেই পারতেন, যে বিষয়টা তাঁর হাতে নেই। এক্ষেত্রে হাউস সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ওই কম্পোজার বারংবার এক কথা বলে গিয়েছেন। ক্রেডিট লিস্টে যে নামটা দেয়া হয়েছে, এই বিষয়টা দিয়েই ওই কম্পোজার জাস্টিফাই করার চেষ্টা করেছেন।
বারিষ বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করেছেন। বহু কাছের মানুষ থেকে বন্ধু-বান্ধব ভীষণ খুশি। কারণ এই বিষয়টা নিয়ে কথা বলার দরকার ছিল, বলে মনে করছেন বারিষ। কিছু বছর আগে বলিউডে ঠিক এমন বিষয় নিয়েই দলগত ভাবে অনেক শিল্পী সোচ্চার হয়েছিলেন। বারিষ এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে, সেই বিষয়টা মিস করছেন। অর্থাৎ তিনি এক্ষেত্রে একটু সাপোর্ট চাইছেন। মনে করছেন, বিষয়টা নিয়ে সবাই মিলে একজোট হয়ে কথা বলা দরকার।
আরও পড়ুন: Amar Sangi Movie Review: কেমন হল সোহিনী বিক্রমের ভুতুড়ে প্রেমের ছবি ‘অমর সঙ্গী’?
বারিষ কি কাজ হারানোর ভয় পান?
মাঝেমধ্যেই শোনা যায় , বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে নাকি প্রতিবাদ করলে কাজ হারিয়ে ফেলতে হয় । সেই ভয় কি বারিষ পান? এক্ষেত্রে বারিষের সোজা সাপ্টা কথা, তিনি একেবারেই ভয় পান না। আর এরপর থেকে যদি কোনও কম্পোজার বারিষকে ডাকতে ভয় পান, তখন বারিষ কী করবেন? এ প্রসঙ্গে বলেন, ” মানুষ বারিষকে ডাকে না। কাজকে ডাকে। কে কতটা কাজের যোগ্য সেটাই দেখে। শিল্পীর সত্তাটাকে রাখা হয় কাজের জন্য”। বারিষের হাতে এখন প্রচুর কাজ। পুজোতেই আসছে ‘আবার হাওয়া বদল’, এছাড়াও কিছু ওটিটি প্রজেক্ট আসছে আড্ডা টাইমসে।