ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বিখ্যাত গায়ক সোনু নিগমের (Sonu Nigam) সাথে সবকিছু যেন ঠিকঠাক চলছে না। সম্প্রতি তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন, যা দেখে মন খারাপ অনুরাগীদের। যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন গায়ক। ঠিক কী হয়েছে তাঁর ? নিজেই বললেন, হৃদয়বিদারক এক ঘটনার কথা।
যন্ত্রণা থাকা সত্ত্বেও ভক্তদের হতাশ করেননি (Sonu Nigam)
পুনেতে একটি লাইভ কনসার্টের সময়, কীভাবে তাঁর প্রচণ্ড পিঠে ব্যথা হয়েছিল তা নিজের মুখেই বললেন গায়ক (Sonu Nigam)। জানান, ওই সময় তাঁর মনে হচ্ছিল যেন, একটা সুঁই তাঁর মেরুদণ্ডে বিঁধছে। কিন্তু গায়ক কনসার্টটি সম্পন্ন করেছেন। তীব্র যন্ত্রণা থাকা সত্ত্বেও ভক্তদের হতাশ করেননি। সোনু নিগম ইনস্টাগ্রামে সেই ভিডিওটি শেয়ার করেছেন। যেখানে দেখা যায়, তিনি বিছানায় শুয়ে আছেন। তাঁকে কাঁদতেও দেখা গিয়েছে।
সবথেকে কঠিন দিন (Sonu Nigam)
তিনি বলেন, এটি তাঁর জীবনের সবচেয়ে কঠিন দিন ছিল। কিন্তু দিনটি ছিল তৃপ্তিতে পরিপূর্ণ। সোনু নিগমের (Sonu Nigam) কথায়, ‘আমি গান গাইছিলাম। ঠিক সেই সময় যখন নড়াচড়া করছিলাম, আমার পেটে ব্যথা হচ্ছিল, কিন্তু আমি কোনওভাবে তা সামলে নিলাম। আমি কখনই মানুষের প্রত্যাশার চেয়ে কম করতে বা দিতে চাই না। আমি খুশি যে সবকিছু ঠিকঠাক হয়েছে।” সঙ্গীতশিল্পী আরও যোগ করেছেন, ‘কিন্তু ব্যথাটা ছিল খুব ভয়াবহ, মনে হচ্ছিল যেন আমার মেরুদণ্ডে একটা সুঁই বিদ্ধ করা হয়েছে এবং যদি তা একটুও নড়ে, তাহলে তা মেরুদণ্ডে ঢুকে যাবে। মা সরস্বতী গত রাতে আমার হাত ধরেছিলেন” ।
আরও পড়ুন: Udit Narayan: “আমি নিপাট ভদ্রলোক, অনুরাগীরা আমাকে ছুঁতে চায়”, চুম্বন বিতর্কে অকপট উদিত নারায়ণ
চিন্তিত অনুরাগীরা
স্বাভাবিক ভাবেই এহেন ঘটনার পর সোনু নিগমকে নিয়ে চিন্তিত ভক্তরা। ৫১ বছর বয়সী গায়ক সোনু নিগম এই ভিডিওটি পোস্ট করার সাথে সাথেই ভক্তরা তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করতে শুরু করেন। একজন ইন্সটা ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘মা সরস্বতী কীভাবে তাঁর প্রিয় সন্তানকে সমর্থন না করতে পারেন?’ আরেকজন লিখেছেন, ‘যাই ঘটুক না কেন, কেউ আপনাকে থামাতে পারবে না!’
আরও পড়ুন: Shovan-Sohini: অভিনয়ের পাশাপাশি ঘরকন্নাতেও পারদর্শী, শোভনের সঙ্গে বাগদেবীর আরাধনায় সোহিনী
আপাতত শয্যাশায়ী গায়ক
আপাতত সোনু নিগমের সঙ্গী ইঞ্জেকশন আর ওষুধ। দিন কয়েক ধরেই কোমর থেকে পায়ে অসম্ভব টান অনুভব করছেন। অনুষ্ঠান তো দূর, হাঁটাচলাও এখন সেভাবে করতে পারছেন না। কার্যত এখন তিনি শয্যাশায়ী। পুনেতে অনুষ্ঠান চলাকালীনও সম্ভবত পেশীতে টান পড়ে। যন্ত্রণাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে অনুষ্ঠান চালিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু কিছুক্ষণ পর বুঝতে পেরেছিলেন, তাঁর পক্ষে অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয়। বাধ্য হয়েছিলেন মঞ্চ থেকে নেমে পড়তে। কোমর পা’য়ে মালিশ করার পরেও কোনও লাভ হয়নি। সেই যন্ত্রণা নিয়েই তিনি মঞ্চে ওঠেন। অনুষ্ঠান শেষ করেন। তারপর থেকে তিনি শয্যাশায়ী। দিনটা তাঁর কাছে দুঃস্বপ্নের মতো ছিল। অনেক কষ্টে বেঁচে আছেন। এমনটা নিজেই বলেছেন তিনি।