ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আজকালকার দ্রুত গতির জীবনে স্ট্রেস বা মানসিক চাপ (Music Therapy) একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কর্মব্যস্ততা, পারিবারিক সমস্যা, আর্থিক উদ্বেগ, সামাজিক চাপ এই সব কিছুই আমাদের মানসিক শান্তি কেড়ে নেয়। কিন্তু মিউজিক, বা সঙ্গীত, এমন একটি মাধ্যম যা মানুষকে শারীরিক ও মানসিকভাবে চাপমুক্ত করে স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। মিউজিক মানুষের মনের উপর গভীর প্রভাব ফেলে, এবং সঠিক ধরনের মিউজিক শোনা স্ট্রেস মুক্তির এক সহজ ও কার্যকর উপায়।
মানসিক চাপ কমায় মিউজিক (Music Therapy)
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, মিউজিক মস্তিষ্কের (Music Therapy) বিভিন্ন অংশে প্রভাব ফেলে, বিশেষ করে সেই অংশগুলো যা আমাদের অনুভূতি এবং মনোভাব নিয়ন্ত্রণ করে। মিউজিক শোনার সময় সেরোটোনিন এবং ডোপামিনের মতো সুখের হরমোনগুলি নিঃসৃত হয়, যা আমাদের মনের অবস্থা উন্নত করতে সাহায্য করে। এছাড়া, মিউজিক শোনার ফলে আমাদের শরীরের কর্টিসল (স্ট্রেস হরমোন) এর মাত্রা কমে যায়, যা স্ট্রেস কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ফিরিয়ে আনে মনের শান্তি (Music Therapy)
তাছাড়া, মিউজিক শোনার সময় (Music Therapy) সঙ্গীতের সুর ও তাল আমাদের হৃদয়ের ধ্বনির সাথে সঙ্গতি রেখে কাজ করে। ধীরে ধীরে বাজানো নরম সুরগুলি আমাদের হৃদয়ের ধ্বনিকে শান্ত করে, আমাদের শ্বাস প্রশ্বাসকে ধীর করে দেয় এবং শরীরের পেশীগুলো শিথিল হয়। এর ফলে স্ট্রেস হরমোন কমে যায় এবং আমাদের শরীরের টেনশনও কমে আসে। বিশেষভাবে ক্লাসিক্যাল মিউজিক, চিল আউট সুর, বা প্রাকৃতিক শব্দ—যেমন পাখির গান বা বৃষ্টির শব্দ—এই ধরনের মিউজিক মানুষের মনের শান্তি ফিরিয়ে আনতে সহায়ক।
আরও পড়ুন: Colour Theory: মনের খবর রাখে রঙ, প্রভাব জেনে বাছুন রঙ
বিকাশ ঘটে সৃজনশীল অংশের
অন্যদিকে, কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, মানুষ যখন গান গায় বা যন্ত্রবাদ্য বাজায়, তখন এটি তাদের মস্তিষ্কের এক ধরনের সৃষ্টিশীল অংশকে উদ্দীপিত করে এবং তাদের মানসিক চাপ হ্রাস পায়। গান গাওয়ার মাধ্যমে মানুষের আত্মবিশ্বাসও বাড়ে এবং তারা নিজেকে আরও শক্তিশালী অনুভব করে।
চিকিৎসার অঙ্গ মিউজিক থেরাপি
মিউজিক থেরাপি, যা চিকিৎসাবিদ্যার একটি শাখা হিসেবে স্বীকৃত, সেটিও স্ট্রেস রিলিফে অত্যন্ত কার্যকরী। বিশেষজ্ঞরা মানুষের মনের অবস্থা বুঝে সঠিক ধরনের মিউজিক নির্বাচন করেন, যা তাদের মনোবল ও আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে। এটি এমন একটি পদ্ধতি যা মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কাছেও অনেক জনপ্রিয়।