ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বলিউডের বড় অভিনেতা রাজকুমার রাও (Rajkummar Rao)। অথচ তিনি বাড়িতে রান্না করা থেকে শুরু করে বাসন মাজা, সবই করেন (Rajkummar Rao Love Story)। বাড়ির ঘরোয়া কাজ করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা বোধ করে না। আসলে বিষয়টাকে তিনি আলাদা করে ভাবেন না। চলছে ভালোবাসার সপ্তাহ। আর কদিন পরেই ভালোবাসা দিবস (Valentine’s Day) । তার আগেই বড় সিক্রেট ফাঁস করে দিলেন রাজকুমার রাওয়ের স্ত্রী পত্রলেখা (Patralekha) ।
রান্না করতে ভালোবাসেন রাজকুমার পত্নী (Rajkummar Rao Love Story)
পত্রলেখা তাঁদের সাংসারিক জীবনের নানান কথা শেয়ার করেছেন (Rajkummar Rao Love Story)। এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, অভিনেতা রাজকুমার রাও সবার আগে, তাঁর কাছে তাঁর স্বামী। পত্রলেখার প্রতিটি কাজে সব সময় নিজের স্বামীকে পাশে পেয়েছেন। পত্রলেখা অকপটে স্বীকার করেছেন, তিনি রান্না করতে ভালোবাসেন। আর যখনই রান্না করেন, নানান কাজের সাহায্য করেন রাজকুমার। ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র আগেই, নিজেদের সম্পর্কের রসায়ন ভাগ করে নিলেন রাজকুমার এবং পত্রলেখা।
দু’জনের সম্পর্কের বন্ধন (Rajkummar Rao Love Story)
দুজনের সম্পর্কের বন্ধনটা ঠিক কেমন (Rajkummar Rao Love Story)? এক্ষেত্রে পত্রলেখা জানান, দু’জনেই প্রথম থেকে একমত ছিলেন যে, তাঁদের সম্পর্কের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ রাখবেন না। যে কোনও কাজ, সেটা বড় হোক কিংবা ছোট, সব কাজ নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেবেন। এটা এক ধরনের পারস্পরিক বোঝাপড়া।যে বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে তাঁরা নিত্যদিনের বাড়ির কাজগুলো ভাগ করে নেন। সেই তালিকায় রয়েছে, রান্না করা থেকে শুরু করে জামা কাপড় কাচা, বাসন মাজা সবই। দুজনের সম্পর্ক পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং শ্রদ্ধার উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে।
ছোট ছোট কাজ ভাগ করে নেন
রাজকুমারের প্রসঙ্গে পত্রলেখা বলেন, তাঁর স্বামী ভীষণ গুছিয়ে কাজ করেন। এমনকি বাড়ির ছোটখাটো জিনিস কোথায় রাখা থাকে, সেটাও রাজকুমার জানেন। পত্রলেখা রান্না করতে ভালোবাসেন বলে, রাজকুমার সবসময় সাহায্য করেন। আর এই ছোট ছোট কাজগুলো ভাগ করে নেওয়াটাই, তাঁদেরকে আরও কাছাকাছি নিয়ে এসেছে।
একে অপরের পাশে থাকতে ভালোবাসেন
অপরদিকে রাজকুমার কী বললেন জানেন? অভিনেতার মতে, তাঁদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিশ্বাস করেন, ছোট্ট ছোট্ট কাজ থেকেই সমতার প্রয়োজন। পত্রলেখা যখন বাড়িতে রান্নার কাজ করেন, তখন তিনি বাসন মাজতে ভালবাসেন। কিংবা যখন পত্রলেখা বাড়ির বাইরে থাকেন, তখন বাড়ির টুকিটাকি কাজ সামলে নেন রাজকুমার। আর এভাবেই একে অপরের জন্য জীবনটাকে তাঁর সহজ করে তুলেছেন। এটাই তো বড় ব্যাপার। এখানে নম্বর তোলার কোনও বিষয় নেই। বরং একে অপরের পাশে থাকার বিষয়।
আরও পড়ুন: Mimi Chakraborty: দুষ্টু কোকিল নয়, ‘ডাইনি’র লুকে মিমি! দেখে কী বললেন শুভশ্রী?
বাঁধা পড়েছেন চিরকালের বন্ধনে
এক দশকেরও বেশি সময়, একে অপরকে ডেট করে ২০২১ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন রাজকুমার এবং পত্রলেখা। ১১ বছরের প্রেম পর্ব, তারপর বৈবাহিক জীবন শুরু। দুজনেই মনে করেন এই বন্ধন আত্মার বন্ধন এবং চিরকালের বন্ধন। তাঁরা এখন একটা পরিবার।