ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের নির্বাচন নিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দল বিএনপির পাশে দাঁড়িয়ে (Increased pressure on Yunus), নির্বাচনের আগে কোনো ধরনের সংস্কারের বিরোধিতা করেছে জাতীয় পার্টি (জাপা). বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, “সংস্কারের বিষয়ে মতামত জানাতে সরকার আমাদের ডাকেনি। এই নিয়ে আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি।”
নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ (Increased pressure on Yunus)
তিনি আরও জানান, “যদি সরকার আমাদের সঙ্গে আলোচনা করত, আমরা বলতাম যে, ‘সংস্কার প্রস্তাবগুলো প্রকাশ করুন, এবং নির্বাচনের পর যারা সরকার গঠন করবে, তারা সিদ্ধান্ত নিক।” তিনি উল্লেখ করেন যে, নির্বাচনের আগে সংস্কারে হাত না দেওয়াই তাদের দলের মত। তার এই মন্তব্যের মাধ্যমে নির্বাচনের সময় বর্তমান সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে, যা বিএনপি অনেকদিন ধরেই তুলছে (Increased pressure on Yunus)।
বিএনপি-র দাবি (Increased pressure on Yunus)
এদিকে, বিএনপি দীর্ঘ সময় ধরে দাবি করছে যে, নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে রাজনৈতিক সংস্কার এবং নির্বাচন পদ্ধতির পরিবর্তন হতে হবে (Increased pressure on Yunus)। বিশেষত, মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার এবং তার সহযোগীরা কিছু সংস্কার প্রস্তাবনা নিয়ে এগিয়ে আসছে, যার মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ভোট পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষেও সওয়াল করছেন।
আরও পড়ুন: FBI Director Kash Patel: এফবিআই প্রধান হয়েই কাশ প্যাটেল দিলেন হুঁশিয়ারি
জাতীয় পার্টির দাবি (Increased pressure on Yunus)
জাতীয় পার্টির প্রধান জিএম কাদের বলেন, “এই সরকার নিরপেক্ষ কি না, তা নিয়ে মানুষের মনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, যদি সরকার নিরপেক্ষতা নিশ্চিত না করতে পারে এবং একতরফা নির্বাচন হয়, তবে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।
আরও পড়ুন: World War III: মিয়ামির সামিট থেকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের বার্তা দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প?
রাজনৈতিক সমীকরণ কি ?
বিএনপির নেতৃত্বের সঙ্গে জাতীয় পার্টির এই অবস্থান এক ধরনের রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি করেছে, যেখানে সরকারের উপর চাপ বাড়ানো হচ্ছে, যাতে নিশ্চিত করা যায় যে, নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ থাকবে। এই অবস্থানটি দেশের রাজনীতিতে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। প্রাথমিকভাবে বিএনপি এবং ইউনূস সরকারের মধ্যে সম্পর্ক ভালো ছিল, তবে নির্বাচনের তাগিদে তা পরিবর্তিত হয়েছে। নির্বাচনের প্রক্রিয়া সামনে রেখে ক্রমশ জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করেছেন তারেক রহমান এবং বিএনপির শীর্ষ নেতারা। বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে যে, ইউনূস এবং অন্তর্বর্তী সরকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে মিলিত হয়ে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।