ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সময় যত গড়াচ্ছে ততই যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে একটু বেশিই অত্যাধুনিক হয়ে পড়ছি আমরা। সেইসঙ্গে দৈনন্দিন জীবনে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মুঠো ফোনের ব্যবহার। এই মুঠো ফোন আপনার অজান্তে যে কী সর্বনাশ ডেকে আনছে তা আপনি নিজেও জানেন না। এবার সারা দিনে ২ ঘণ্টার বেশি হেডফোন ব্যবহার না করার পরামর্শ দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সব রাজ্যের মুখ্যসচিব-সহ বিভিন্ন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষদের কাছে পাঠানো হয়েছে এই নির্দেশিকা (Central Warn For Using Earphone)।
সেখানে বলা হয়েছে, অহেতুক হেডফোন ব্যবহার নতুন প্রজন্মের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। দিনে দিনে দুর্বল হয়ে যেতে পারে শ্রবণ ক্ষমতা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরামর্শ, হেডফোন ব্যবহার করলেও তার মাত্রা যেন ৫০ ডেসিবলের বেশি না হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে স্ক্রিনিং টাইম আরও কমানোর কথাও বলেছে কেন্দ্র (Central Warn For Using Earphone)।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/mamata-vs-suvendu-news-updates/

কেন্দ্রের জারি করা নির্দেশিকায় কী বলা হয়েছে (Central Warn For Using Earphone):-
কেন্দ্রের তরফে নির্দেশিকাও এও বলা হয়েছে, হেডফোন ক্রমাগত ব্যবহারের ফলে শ্রবণশক্তি হারানোর পাশাপাশি টিনিটাস (Tinnitus) হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। এই রোগ হওয়ার নির্দিষ্ট কোনও বয়স নেই। দেখা গিয়েছে বাচ্চারা যারা হেডফোন ব্যবহার করে গেম খেলে তাঁদের এই রোগটি হওয়ার আশঙ্কা (Central Warn For Using Earphone) বেশি থাকে। এও বলা হয়েছে- যদি হেডফোন ব্যবহার করতেই হয় তাহলে নয়েজ ক্যান্সেলিং হেডফোন ব্যবহার করুন অবশ্যই সাউন্ড যতটা সম্ভব কমিয়ে।

আরও পড়ুন:https://tribetv.in/mamata-on-vasha-diwas-over-bangladesh-issues-speak/
সোশাল মিডিয়ার ব্যবহার কমানোর কথাও উল্লেখ করা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। অতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহারের ফলে টিনিটাস হতে পারে। এর লক্ষণগুলি হল-এক বা উভয় কানে শব্দ বাজছে এমন শোনা, কানে গুনগুন করা, বিরতিহীন বা ক্রমাগত শব্দ। কখনো মনে হয় কানে ঝিঁঝিঁ শব্দ হচ্ছে; কখনো মনে হয় ঢাক পেটাচ্ছে, মাথা থেকে শব্দ আসে বলে মনে হওয়া। আসলে কানের ভেতর ক্ষুদ্র চুলের মতো একধরনের কোষ থাকে, যেগুলো শব্দতরঙ্গের সঙ্গে নড়াচড়া করে(Central Warn For Using Earphone)। এর ফলে শব্দ শুনতে পাই। কোষগুলো যদি ছিঁড়ে যায় বা সঠিকভাবে কাজ না করে, তখন মস্তিষ্কে অনিয়মিত ও ভুল ইলেকট্রিক্যাল ইমপালস পৌঁছায়। ফলে কানে অস্বাভাবিক শব্দ শোনা যায় (Central Warn For Using Earphone)।