ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : বসন্তের সময় প্রকৃতিতে নতুন প্রাণের সঞ্চার হলেও, এই ঋতুর সঙ্গে আসে এক অজানা শঙ্কাও—চিকেন পক্স (Chicken Pox)। এই রোগটি বিশেষভাবে ভাইরাসের মাধ্যমে ছড়ায় এবং শরীরে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক কীভাবে এই ভাইরাস থেকে বাঁচা যাবে এবং কী কী সাবধানতা অবলম্বন করা যেতে পারে।
সঠিক খাদ্য গ্রহণ করুন (Chicken Pox)
বসন্তের সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। এজন্য সঠিক পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা দরকার (Chicken Pox)।
ভিটামিন সি: ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কমলালেবু, আমলকি, সজনে ফুল ও করলা ভিটামিন সি এর ভাল উৎস।
তুলসি পাতা ও গুলঞ্চ: তুলসি পাতা এবং গুলঞ্চের রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করা যায়।
সজনে ফুল ও শাক: সজনে ফুল এবং শাক শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী, কারণ এতে প্রচুর পুষ্টি উপাদান থাকে।
ভ্যাকসিন গ্রহণ করুন (Chicken Pox)
চিকেন পক্সের (Chicken Pox) বিরুদ্ধে সবচেয়ে কার্যকর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হল ভ্যাকসিন। শিশুদের জন্য ১২-১৫ মাস বয়সে প্রথম ডোজ এবং ৪-৬ বছর বয়সে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে অনেকেই ভ্যাকসিন নেন না, যার ফলে ভবিষ্যতে চিকেন পক্স হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা চিকেন পক্সের (Chicken Pox) লক্ষণ কমাতে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করতে পারে।
ভেরিওলিনাম ২০০ এমএল: শিশুদের জন্য ২টি বড়ি এবং বড়দের জন্য ৪টি বড়ি দিনে দু’বার খাওয়া যেতে পারে। ফেব্রুয়ারি মাসে ৭ দিন এই ওষুধ খেলে চিকেন পক্সের ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়।
আয়ুর্বেদিক উপায় অবলম্বন করুন
চিকেন পক্সের বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আয়ুর্বেদিক উপায় অনুসরণ করা যেতে পারে।
তুলসি ও গুলঞ্চ: তুলসি ও গুলঞ্চের পাতা মধুর সঙ্গে খেলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
সজনে ফুলের রস ও ঘৃতকুমারী: সজনে ফুলের রস এবং ঘৃতকুমারী খাওয়া খুবই কার্যকরী।
আরও পড়ুন : সিজন চেঞ্জের সর্দি কাশিতে নাজেহাল ? কি সাবধানতা মেনে চলবেন ? জানুন….
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন
চিকেন পক্সের ভাইরাস খুবই সংক্রামক। তাই, রোগীর ফোস্কার সংস্পর্শে না আসা এবং রোগীকে আলাদা রাখা জরুরি।রোগী যখন ফোস্কা শুকাতে শুরু করে, তখন সেই ফোস্কা একটি দেশলাই বাক্সে জমিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া উচিত, যাতে ভাইরাস অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে না পড়ে।
খাবারের বিধিনিষেধ
বসন্তের এই সময়ে কিছু খাবার থেকে বিরত থাকা উচিত, যেমন: পাঁঠার মাংস,দুধ বা দুধজাত কোনও খাবার এই খাবারগুলো চিকেন পক্সের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
আরও পড়ুন : ভুলেও ঠাণ্ডা করে খাবেন না এই খাবার গুলো, হতে পারে মারাত্মক ক্ষতি
বিশ্রাম এবং সঠিক পরিচর্যা
যদি চিকেন পক্স হয়ে যায়, তবে রোগীকে কমপক্ষে ৭-১০ দিন বিশ্রাম নিতে হবে। ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী ২১ দিন বিশ্রাম নিতে হতে পারে এবং এই সময় চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)