ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: অনেক সময় দেখা যায় মহিলাদের অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা(Irregular Periods)। সঠিক সময়ে পিরিয়ড না হওয়াটা এখন খুব চেনা একটা সমস্যা । হরমোনের সমস্যা, বেশি বা কম ওজন, শুয়ে-বসে থাকা জীবনযাপনের ফলে আজকালকার মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যা আকছার দেখা যায়। এর ফলে পিসিওএস, থাইরয়েড ইত্যাদি সমস্যাও দেখা দিতে পারে। পিরিয়ড অনিয়মিত হলে মোটা হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। মুখে, সারা দেহে অবাঞ্ছিত চুল জন্মায়; মেজাজ চিড়বিড়ে হয়ে যায় প্রায়শই। অনিয়মিত ঋতুস্রাবের ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা ওষুধের চেয়েও বেশি গুরুত্ব দেন সুস্থ জীবনযাপনের ওপর। এখন প্রশ্ন হল কেন অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা দেখা যায়? শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, যেমন ইস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন এবং থাইরয়েডের কারণে পিরিয়ড অনিয়মিত হতে পারে। হরমোনের ভারসাম্যহীনতা বিভিন্ন কারণে ঘটতে পারে, যেমন মানসিক চাপ, বার্ধক্য, অথবা হরমোনের ব্যাধি।
কেন হয় অনিয়মিত পিরিয়ডস?(Irregular Periods)
১. অতিরিক্ত চাপ, অনিয়মিত ঘুম, অতিরিক্ত ব্যায়াম, অথবা অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসও মাসিক চক্রের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। অতিরিক্ত ওজন হ্রাস বা বৃদ্ধিও একটি প্রধান কারণ হতে পারে। অনেক সময় খুব বেশি গর্ভনিরোধক খেলেও অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা(Irregular Periods) হতে পারে।

২.পিসিওএস-এ, ডিম্বাশয়ে অল্প সংখ্যক সিস্ট তৈরি হয়। হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে মাসিক অনিয়মিত হয়ে যায়। এছাড়াও, এই অবস্থায় অবাঞ্ছিত লোম বৃদ্ধি, ওজন বৃদ্ধি এবং ত্বক সম্পর্কিত নানা সমস্যাও দেখা যায়।

সপ্তাহের কয়েকটি দিন অস্বস্তিতে কাটে মহিলাদের। ঋতুস্রাবের ভোগান্তি কম নয়। পেটে ব্যথা, পেশিতে টান ধরা, মাথা ঘোরা— হাজার উপসর্গ দেখা দেয় ঋতুস্রাবকালীন সময়ে। শরীর ভিতর থেকে দুর্বল হয়ে পড়ে। কাজেও গতি পাওয়া যায় না। ঋতুস্রাবের প্রথম দু’দিন অনেকেই প্রচণ্ড অসুস্থ থাকেন। ঋতুস্রাবের ২৮ দিনের নির্দিষ্ট চক্র থাকে। সেটা কখনও ৭ দিন আগে-পরে হয়। তবে ঋতুস্রাব হতে খুব বেশি দেরি হওয়া একেবারেই ভাল না।
আরও পড়ুন: Sesame Seeds: রান্নায় থাকুক তিল, জানেন নিয়মিত তিল খাওয়ার উপকারিতা?
কী করবেন পিরিয়ডের সময়ে?(Irregular Periods)
১.অনিয়মিত পিরিয়ড(Irregular Periods) হলে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। মাসিকের সময়ে হেরফের হয়। মাসে দুবার পিরিয়ডস হতে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে বেশি পিরিয়ডস হয়, আবার কারও ক্ষেত্রে কম পিরিয়ডস হয়। কিছু মহিলা তাদের পিরিয়ডের সময় তীব্র ব্যথাও অনুভব করেন। এইসব ক্ষেত্রে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ বা হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ করা উচিত।

২. মানসিক চাপ কমাতে, ধ্যান করতে পারেন। হরমোনের ভারসাম্যহীনতার একটি প্রধান কারণ হতে পারে মানসিক চাপ। ভেষজ চা পান করতে পারেন।
আরও পড়ুন: Dog Bite: অসাবধানেই কুকুরের কামড়? ক্ষত সারাবেন কীভাবে?
৩.রোজের খাদ্যতালিকায় ফলমূল, সবুজ শাকসবজি, প্রোটিন এবং দুগ্ধজাত খাবার দাবার রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ব্যায়াম করা, ভালো ঘুম হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।