ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বীরভূমের তারাপীঠ মন্দিরে উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়(Jagdeep Dhankar)। সস্ত্রীক পুজো দিলেন মা তারার। দিল্লী থেকে বিমানে করে পানাগড়, পানাগড় থেকে বায়ুসেনার চপারে চড়ে সকালে বীরভূম-ঝাড়খণ্ড সীমানার বায়ুসেনার সুঁড়িচুয়া এয়ারবেশে পৌঁছে যান তিনি। সেখান থেকে সড়ক পথেই যান তারাপীঠ মন্দিরে। কড়া নিরাপত্তার মাঝে এদিন স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়েই তারাপীঠে পৌঁছেছিলেন ধনখড়।
শপথ গ্রহণের পর প্রথম বাংলা সফর (Jagdeep Dhankar)
২০১৯ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত রাজ্যের রাজ্যপাল হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন জগদীপ(Jagdeep Dhankar)। সেই সময়কালে শাসক দলের সঙ্গে ভালোই সম্পর্ক ছিল তাঁর। উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার পর কিছুদিন আগে বিধানসভায় এসে বক্তৃতা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। উপরাষ্ট্রপতি পদে শপথ গ্রহণের পর প্রথমবার বাংলা সফরে এলেন জগদীপ ধনকড়। তারাপীঠে মায়ের কাছে পুজো দিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী সুদেশ ধনকড়। এদিন কলকাতায় এসে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গেও দেখা করেন ধনকড় বলে জানা যায়।
উপ-রাষ্ট্রপতির যাত্রাপথ (Jagdeep Dhankar)
এদিন দিল্লি থেকে বিমানে প্রথমে পানাগড় পৌঁছোন উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়(Jagdeep Dhankar)। তারপর সেখান থেকে বায়ুসেনার চপারে চড়ে সকাল ৯:৩৫ মিনিটে বীরভূম-ঝাড়খণ্ড সীমানার বায়ুসেনার সুঁড়িচুয়া এয়ারবেসে নামেন ধনকড়। সকাল ১০:১৫ মিনিটে সড়কপথে উপ-রাষ্ট্রপতি পৌঁছোন তারাপীঠ মন্দিরে। সেখানে পুজো দেওয়ার পর সকাল ১০:৩৫ নাগাদ তারাপীঠ থেকে বেরিয়ে বেলা ১১:২০ মিনিটে ফের বায়ুসেনার চপারে চড়ে পানাগড়ের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।

‘দেশের মঙ্গল কামনা’
শুক্রবার বেলা ১০.১৫ মিনিটে তারাপীঠ মন্দিরে পৌঁছোন উপ-রাষ্ট্রপতি। তারপর মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রায় ১৫ মিনিট ধরে পুজো-অর্চনা করেন তিনি। উপরাষ্ট্রপতি যতক্ষণ ছিলেন, ততক্ষণ সাধারণের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল মন্দিরের দ্বার। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে পুজো দিতে যান উপরাষ্ট্রপতি। বেশ কিছুক্ষণ মন্দিরের ভিতরে ছিলেন তিনি। ফল, মিষ্টি, আলতা, সিঁদুর দিয়ে মা তারার কাছে পুজো দেন তিনি। এদিন তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দিয়ে সাংবাদিকদের উপ-রাষ্ট্রপতি বলেন, “মা তারার কাছে দেশের মঙ্গল কামনা করছি। মা তারার দর্শনে আমরা দু’জনেই এক আলাদা অনুভূতি পেয়েছি।”

কড়া নিরাপত্তায় তারাপীঠ মন্দির
শুক্রবার দেশের উপরাষ্ট্রপতির জন্য কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় তারাপীঠ মন্দির চত্বর। সকাল থেকে চরম ব্যস্ততা লক্ষ করা যায় প্রশাসনের। গতকাল থেকে বীরভূম জেলা পুলিশ আমনদীপ সহ বিভিন্ন আধিকারিক রয়েছেন তারাপিঠে। দেশের উপ-রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তায় তৎপর তারাপীঠ মন্দির কমিটিও। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে মন্দির কর্তৃপক্ষেরও তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতোই। কোনওরকম ঝামেলা এড়াতে পাঁচ পুরোহিতের একটি দল তৈরি করা হয়। যাঁদের হাত ধরে পুজো দিয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি ধনকড়।