ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: অতর্কিতে অ্যাসিড হামলার শিকার হলেন খড়দহের(Khardaha) এক গৃহবধূ। তাঁর মাথায়, মুখে প্রতিবেশী এক যুবক আচমকাই অ্যাসিড ঢেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ। অ্যাসিড আক্রান্ত মহিলাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বারাকপুর বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে। তাঁর মাথার চুল ও মুখের বেশ খানিকটা অংশ পুড়ে গিয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা। তাঁর অবস্থা সংকটজনক। রহড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে বলে জানা যাচ্ছে।
আক্রান্ত গৃহবধূর ছেলেও (Khardaha)
শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে এলপি কলোনি এলাকায়(Khardaha) ৷ অ্যাসিড হামলায় মহিলার মুখ ও শরীরে বেশ খানিকটা অংশ পুড়ে গিয়েছে ৷ ব্যারাকপুরের বিএন বসু হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৷ অভিযোগ পেয়ে পুলিশ হামলাকারী যুবককে গ্রেফতার করেছে ৷ কী কারণে এই অ্যাসিড হামলা, তা জানা না-গেলেও ঘটনার নেপথ্যে ব্যক্তিগত কোনও আক্রোশ থাকতে পারে বলে ধারণা পুলিশের ৷ জানা যাচ্ছে মাকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত গৃহবধূর ছেলেও ৷
একই বাড়িতে পাশাপাশি ঘরে ভাড়া (Khardaha)
ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক সুজিতকুমার দেবনাথ একই বাড়িতে পাশাপাশি দু’টি ঘরে ভাড়া থাকেন (Khardaha) ৷ সুজিত দমদমের একটি কারখানায় কাজ করেন ৷ এ দিন দুপুরে ওই গৃহবধূ উঠোনে বাড়ির কাজ করছিলেন ৷ অভিযোগ, সুজিত সেই সময় তাঁর উপর অ্যাসিড ঢেলে দেন ৷ঘটনার সময় আক্রান্ত মহিলার ছেলে ঘরের ভিতরে ছিল ৷ সে বাইরে চিৎকার শুনে বেরিয়ে আসে ৷ ওই কিশোর পুলিশকে জানিয়েছে, সুজিতকে হাতে অ্যাসিডের খালি বোতল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সে ৷ আর পাশে যন্ত্রণায় ছটফট করছিল তার মা ৷

আরও পড়ুন: Behala Incident: বেহালায় একই দড়ির দু’প্রান্তে বাবা-মেয়ের ঝুলন্ত দেহ
বালতির জলে অ্যাসিড
আক্রান্ত মহিলার ছেলে বলে, “মা বাড়ির উঠোনে কাজ করছিল ৷ সেই সময় হঠাৎই ভাড়াটিয়া কাকু এসে মা’র মাথার চুল সরিয়ে অ্যাসিড ঢেলে দেয় ৷ কাকুর হাতে একটা বালতিও ছিল ৷ বালতির জলে অ্যাসিড মেশানো ছিল ৷ তা নিয়েই ঘরের ভিতরে এসে ছিটিয়ে দেয় ৷ কোনও ঝগড়াঝাটি হয়নি কাকুর সঙ্গে ৷ তাই কী কারণে হামলা, বলতে পারব না ৷” আক্রান্ত মহিলার স্বামী অশোক দাস জানান, ”আমি বাড়িতে ছিলাম না, কাজে গিয়েছিলাম। ভাইপো ফোন করে জানাল এরকম ঘটনা ঘটেছে। বুঝলাম না কেন এই ঘটনা ঘটল। ওদের সঙ্গে আমাদের কখনও কোনও ঝগড়া ছিল না।”
পুলিশ গ্রেফতার করে অভিযুক্তকে
ঘটনা ঘটার পর খবর দেওয়া হয় স্থানীয় কাউন্সিলর চিন্ময়কুমার দাসকে। কাউন্সিলরই খবর দেন রহড়া থানায়। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে সেখানে গিয়ে সুজিতকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনায় আক্রান্ত গৃহবধূর স্বামী রহড়া থানায় সুজিতের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সুজিত ও ওই গৃহবধূর মধ্যে পুরনো কোনও সম্পর্ক বা শত্রুতা ছিল কি না, তাও কেউ জানেন না। তবে প্রতিবেশীর দাবি, অভিযুক্ত ছেলেটি ভালো নয়, গাঁজার নেশা করে। হয়ত নেশার ঘোরেই অ্যাসিড ছুড়ে মেরেছে।