Last Updated on [modified_date_only] by Ananya Dey
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : আজ করবো, কাল করবো করে ,শুরুটা করাই হয় না। এক্সারসাইজ (Exercise) শুরু করতে গিয়ে অনেকেই অলসতার বেড়াজালে আটকে যায়। শারীরিক সুস্থতা ও ভালো স্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত ব্যায়াম জরুরি, কিন্তু সেই ব্যায়াম শুরু করার জন্য অনেক সময় গড়িমসি করি আমরা। তবে, এক্সারসাইজ (Exercise) শুরু করার কিছু সহজ উপায় ও টিপস অনুসরণ করলে অলসতাকে জয় করা সম্ভব।
শুরুটা কীভাবে করবেন? (Exercise)
অলসতা কাটিয়ে এক্সারসাইজ (Exercise) শুরু করতে হলে প্রথমে একটি সহজ ও বাস্তব পরিকল্পনা তৈরি করুন। দিনে ২০-৩০ মিনিট হাঁটা শুরু করুন। নিজের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় বেছে নিন, যেমন সকালে বা সন্ধ্যায়। বন্ধুদের সঙ্গে একসাথে ব্যায়াম করলে উদ্দীপনা বাড়বে। এক্সারসাইজের সময় পছন্দের মিউজিক শুনুন। ধীরে ধীরে এক্সারসাইজের ধরন বদলাতে থাকুন, যেমন যোগব্যায়াম বা জগিং। কিছুটা মজার এবং ইন্টারেস্টিং করে তুলতে পারলে অলসতাও চলে যাবে। লক্ষ্য স্থির করুন এবং প্রতিদিন কিছুটা উন্নতি করতে চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন, স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এক্সারসাইজ অত্যন্ত জরুরি। নিয়মিত অভ্যাস করলে অলসতা কাটানো সহজ হবে।
নতুনদের জন্য এক্সারসাইজ (Exercise)
যারা এক্সারসাইজ প্রথম প্রথম শুরু করেছেন, তাদের জন্য হালকা ও সহজ ব্যায়াম নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি আগে কখনও ব্যায়াম না করে থাকেন, তবে হাঁটা বা হালকা দৌড়ানো শুরু করুন। দিনে ২০-৩০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং শরীরকে ধীরে ধীরে এক্সারসাইজের জন্য প্রস্তুত করুন। এরপর যোগব্যায়াম, পুশ-আপ বা স্কোয়াট এর মতো সহজ ব্যায়াম শুরু করতে পারেন। এভাবে শুরু করলে এক্সারসাইজ ক্লান্তিকর না হয়ে বরং আনন্দময় হয়ে উঠবে।
পড়ুয়াদের জন্য এক্সারসাইজ
ছাত্রদের জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি এক্সারসাইজের (Exercise) সময় বের করা একটু কঠিন, তবে অসম্ভব নয়। সকালে বা সন্ধ্যায় ৩০ মিনিট হাঁটা, জগিং বা যোগব্যায়াম করা যায়। স্কুল বা কলেজের ব্যস্ততার মাঝে কিছু স্ট্রেচিং এক্সারসাইজও করতে পারেন। এছাড়া স্কুলের স্পোর্টস অ্যাকটিভিটিতে নিয়মিত অংশ নিন। মনে রাখবেন, স্বাস্থ্য ভালো থাকলে পড়াশোনায়ও মনোযোগ বাড়ে।
চাকরিজীবীদের জন্য এক্সারসাইজ
চাকরিজীবীদের জন্য এক্সারসাইজের সময় বের করা বেশ চাপের ব্যাপার, কিন্তু এটিও সম্ভব। অফিসে বসে কাজ করার সময় প্রতি ঘণ্টায় ৪-৫ মিনিট হাঁটুন, দাঁড়িয়ে যান বা কিছুটা নড়াচড়া করুন। অফিসে সিঁড়ি ব্যবহার করা, লাঞ্চের সময় হাঁটা বা বাড়ি ফেরার পথে কলিগদের সাথে হাঁটা ভালো উপায় হতে পারে। নিয়মিত ব্যায়ামের জন্য কাজের পর জিমে যাওয়ার বা সন্ধ্যায় হাঁটার জন্য কিছু সময় বের করুন। কর্মজীবীদের জন্য এক্সারসাইজ মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে।

এক্সারসাইজের শারীরিক গুরুত্ব
নিয়মিত এক্সারসাইজের মাধ্যমে শরীরের স্বাস্থ্য উন্নত হয়। এটি হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগের ঝুঁকি কমায়। এক্সারসাইজ মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এটি পেশী ও হাড়ের শক্তি বাড়ায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও উন্নত করে।
আরও পড়ুন : Spring Disease: ভরা বসন্তে তীব্র গরম, শরীরে বাসা বাঁধতে পারে এসব রোগ!
এক্সারসাইজের মানসিক গুরুত্ব
এক্সারসাইজ শুধুমাত্র শারীরিক নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শারীরিক কার্যকলাপের সময় মস্তিষ্কে এন্ডোরফিন (Endorphins) নামক হরমোন নিঃসৃত হয়, যা আমাদের মন ভালো রাখে এবং উদ্বেগ কমায়। নিয়মিত ব্যায়াম করলে স্ট্রেস কমে, ঘুম ভালো হয় এবং কর্মক্ষমতা বাড়ে। এটি আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই, এক্সারসাইজ আপনার মানসিক সুস্থতার জন্যও অপরিহার্য।
আরও পড়ুন : Reels Addiction : রিলসের নেশায় বুঁদ? জানেন কি মারাত্মক বিপদ ডেকে আনছেন
বয়স অনুযায়ী এক্সারসাইজ
বয়স অনুযায়ী এক্সারসাইজের ধরন পরিবর্তিত হয়। ছোটদের জন্য নিয়মিত খেলাধুলা, দৌড়ঝাঁপ বা শারীরিক কার্যকলাপ জরুরি। তরুণদের জন্য জিম, সুইমিং বা রেসিং ভালো। বয়স্কদের জন্য হালকা হাঁটা, যোগ ব্যায়াম বা স্ট্রেচিং উপকারী। বয়স অনুযায়ী এক্সারসাইজের ধরন ঠিক করতে একজন ফিটনেস ইন্সট্রাকটরের পরামর্শ নেওয়া ভালো।