ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: শুশুনিয়া পাহাড়ে ফের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। ঝরা পাতায় আগুন লাগল পাহাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকায়। লোকবলেও আয়ত্তে কাবু হল না শুশুনিয়ার আগুন (Shushunia Hill)। আগুন নেভানোর জন্য রাতভর চেষ্টা করলেন বনকর্মীরা। চেষ্টা চলছে এখনও। কিন্তু শুক্রবার শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও নেভেনি শুশুনিয়ার আগুন। পুড়ে খাক বনাঞ্চল, বন্যপ্রাণের ক্ষতির আশঙ্কা।
বৃহস্পতিবার পাহাড়ের পূর্ব অংশে আগুনের লেলিহান শিখা প্রথম চোখে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের। আগুন দ্রুত পাহাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে দেখে তাঁরাই খবর দেন বন দফতরে। বন দফতরের কর্মীরা পাহাড়ের (Shushunia Hill) নির্দিষ্ট অংশে উঠে ব্লোয়ারের সাহায্যে ঝরা পাতার স্তুপ বিচ্ছিন্ন করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: Firecracker recovered: খাস কলকাতায় ফের উদ্ধার বিপুল পরিমাণ শব্দবাজি, গ্রেফতার ১
২৪-এর পুরনো স্মৃতি (Shushunia Hill)
স্থানীয়রাই প্রথম আগুন দেখতে পেয়ে বন দফতরকে খবর দেয়। তাঁদের মনে ২০২৪ এর পুরনো স্মৃতিই ফিরে আসে। আগুন এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, তা বাগে আনতে রীতিমত হিমশিম খেতে হয় বন দফতরকে। ঝরা শুকনো পাতায় লেগে যাওয়া আগুন কার্যত দাবানলের চেহারা নেয়। পুড়ে ছাই হয়ে যায় পাহাড়ের বহু জীবজন্তু, বিরল প্রজাতির গাছ ও সরীসৃপ। প্রায় চার দিন ধরে দাউদাউ করে সেই আগুন জ্বলার পর অবশেষে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। বৃহস্পতিবার ফের ভয়াবহ আগুন লাগে বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়ে (Shushunia Hill)। এরপর ৩০ জনের একটি দল আসে এই বিপর্যয় মোকাবিলা করতে।
২০২৫ সালে সে ভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেনি শুশুনিয়া পাহাড়ে (Shushunia Hill)। তবে দু’বছর যেতে না যেতেই বৃহস্পতিবার সকালে কেউ বা কারা পাহাড়ের পুর্ব অংশে পাহাড়ের গায়ে ঝরে পড়া শুকনো পাতার স্তুপে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। সেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে পাহাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকায়। সাদা ধোঁয়ায় কার্যত ঢেকে যায় গোটা পাহাড়। বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসতেই বন দফতরে খবর দেন তাঁরা। এর পরেই বন কর্মীদের একটি বিশাল বাহিনী উন্নত মানের ব্লোয়ার সঙ্গে নিয়ে পাহাড়ে উঠে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। ব্লোয়ার দিয়ে শুকনো ঝরা পাতার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আগুন নেভানোর চেষ্টা শুরু হয়।