ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: জ়েলেনস্কির পর এ বার যুদ্ধবিরতি চাইছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনও (Vladimir Putin)। খুব শীঘ্রই তিনি যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই করতে পারেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে পুতিনের তরফে রাখা হতে পারে বেশ কিছু শর্তও। ডোনাল্ড ট্রাম্প যে এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা নিচ্ছেন সেই বিষয়ে কোনো সন্দেহই নেই। ইউক্রেনের সঙ্গে সাময়িক যুদ্ধবিরতি যেতে রাজি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন! এনিয়ে কিয়েভের সঙ্গে আলোচনা বসতে আগ্রহী তিনি।
‘রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করা সহজ’ (Vladimir Putin)
এই প্রসঙ্গে গতকাল ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, “রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করা সহজ। তাদের সঙ্গে সমঝোতা পথে হাঁটা সহজ। কিন্তু ইউক্রেনের সঙ্গে কাজটা বেশ কঠিন।” এমনকী মার্কিন প্রেসিডেন্ট এও বলেন, রাশিয়া যদি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়ও, তাহলে তারা একটি শান্তিরক্ষা মিশন স্থাপনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। সেই মিশনে কোন কোন দেশ থাকবে, সেটাও চুক্তির শর্তের অন্তর্ভুক্ত করতে পারে ক্রেমলিন। বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেনকে আর সামরিক সাহায্য করবে না আমেরিকা। এমনকী কিয়েভকে আর কোনও গোয়েন্দা তথ্য না দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াশিংটন। ফলে প্রবল চাপে পড়েছেন জেলেনস্কি। আর এই সুযোগকেই কাজে লাগাতে চাইছেন পুতিন (Vladimir Putin)।
রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতার বার্তা (Vladimir Putin)
ইউরোপের সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, গত মাসে আমেরিকার সঙ্গে রাশিয়ার আধিকারিকদের কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে সাময়িক যুদ্ধবিরতি নিয়ে সিদ্ধান্তও হয়েছে। তিন বছর ধরে টানা যুদ্ধ চলার পর পুতিনের (Vladimir Putin) পদক্ষেপে আশার আলো দেখছে ইউরোপ। আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের ক্ষমতায় আসার পরেই রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতার বার্তা দিয়েছেন ইউক্রেনকে। ভলোদিমির জ়েলেনস্কির দেশকে এ বিষয়ে কূটনৈতিক পন্থা অবলম্বনের পরামর্শও দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে অনড় মনোভাব নিয়ে চলছিলেন জ়েলেনস্কি। যার জেরে ট্রাম্পের সাথে সম্পর্ক খারাপ হয় তাঁর।
ইউক্রেনের প্রতি সাহায্য বহাল
তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকেই জেলেনস্কিদের পাশে ছিল আমেরিকা। দেশে আর্থিক সমস্যা সত্ত্বেও একাধিকবার ইউক্রেনের জন্য নানারকম সাহায্যের ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর একাধিক দেশে মার্কিন অনুদান বন্ধ করে দেন। কিন্তু ইউক্রেনের প্রতি সাহায্য বহাল ছিল। এবার ইউক্রেন-আমেরিকার খনিজ চুক্তির সম্ভাবনা নাকচ হয়ে যেতেই ট্রাম্প কিয়েভের প্রতি বিরূপ হয়েছেন।
বেশ কিছু শর্ত রয়েছে পুতিনের
এ বার রাশিয়াও সাময়িক বোঝাপড়ায় রাজি হয়েছে। তবে বেশ কিছু শর্ত রয়েছে পুতিনের। হোয়াইট হাউসে বসে ট্রাম্প জানিয়েছেন, পুতিনকে তিনি বিশ্বাস করেন। পুতিন যুদ্ধ থামাতে আগ্রহী। এমনকি, ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইউক্রেনের চেয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা করা তাঁর কাছে বেশি সহজ বলে মনে হচ্ছে। অনেকে বলছেন, রাশিয়া যদি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়ও, তারা একটি শান্তিরক্ষা মিশন স্থাপনের বিষয়ে জোর দেবে। সেই মিশনে কোন কোন দেশ থাকবে, তা-ও চুক্তির শর্তের অন্তর্ভুক্ত করতে চাইতে পারে ক্রেমলিন।