ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: উচ্চ মাধ্যমিকের তৃতীয় সিমেস্টারের পাঠ্যবই নিয়ে এবার নতুন সংকট সৃষ্টি হয়েছে (Higher Secondary Textbooks)। অভিযোগ, অনেক দিন আগে প্রকাশকেরা বই জমা দিলেও, এখনও সেগুলি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের অফিসে পড়ে রয়েছে। বইয়ের রিভিউ করার দায়িত্বে থাকা সদস্যরা বর্তমানে ব্যস্ত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার নজরদারিতে। ফলে পরীক্ষার পরেই শুরু হবে বই রিভিউয়ের কাজ, আর তখনই প্রশ্ন উঠেছে— পড়ুয়ারা কি তৃতীয় সিমেস্টারের বই সময়মতো পাবে?
রিভিউ হয়নি বই (Higher Secondary Textbooks)
২০২৪ সাল থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের সিমেস্টার পদ্ধতি চালু (Higher Secondary Textbooks) হয়েছে। এই নতুন পদ্ধতির আওতায় পাঠ্যক্রমে ব্যাপক পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন সিমেস্টারের জন্য প্রয়োজনীয় পাঠ্যবই প্রস্তুত করার কাজ শুরু হলেও, অধিকাংশ বই এখনও বাজারে আসেনি। প্রকাশকদের দাবি, তাঁরা জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে বইগুলো জমা দিয়েছেন, কিন্তু সময়মতো বইয়ের রিভিউ না হওয়ার কারণে এখনও সেগুলি প্রকাশিত হয়নি।
রিভিউয়ের পরই বাকি প্রক্রিয়া (Higher Secondary Textbooks)
শিক্ষা সংসদ জানিয়েছে, বেসরকারি প্রকাশকদের পাঠ্যবই রিভিউ প্রক্রিয়া একাধিক স্তরে সম্পন্ন করতে (Higher Secondary Textbooks) হয়। প্রথমে বই রিভিউকারীর কাছে পাঠানো হয়, যেখানে সংশোধনের প্রস্তাব থাকে। এরপর সংশোধন হয়ে ফের পাঠানো হয়। যখন রিভিউয়ার কমিটি সন্তুষ্ট হয়, তবেই বইটির টেক্সট বুক নম্বর দেওয়া হয় এবং তা প্রকাশের অনুমতি পাওয়া যায়।
শিক্ষক সংকট
এদিকে, শিক্ষক সংকটের কারণে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে একাধিক কাজ একসঙ্গে করতে হচ্ছে। শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ, আবার অনেকেই অবসর নিচ্ছেন। এই কারণে, যাঁরা এখন পরীক্ষার দায়িত্বে আছেন, তাঁদের বই রিভিউয়ের কাজে নিযুক্ত করা সম্ভব নয়। ফলে, যাঁরা রিভিউয়ের কাজ করবেন, তাঁদের কাজ শুরু হবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর।

অভিভাবকদের উদ্বেগ
অভিভাবকদের উদ্বেগ এখানেই। দ্বিতীয় সিমেস্টারের পরীক্ষা এবং তৃতীয় সিমেস্টারের বইয়ের প্রস্তুতি একসঙ্গে চলে আসায়, তারা চিন্তিত যে, তাদের সন্তানরা তৃতীয় সিমেস্টারের বই সময়মতো পাবে কি না। যদিও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য আশ্বাস দিয়েছেন, “পড়ুয়াদের দুশ্চিন্তার কারণ নেই। সময়মতো তৃতীয় সিমেস্টারের সব পাঠ্যবই বাজারে চলে আসবে।” তবে, এখনও পর্যন্ত বিষয়টি সমাধান না হওয়ায়, প্রশ্ন উঠেছে— আগামী দিনে শিক্ষার্থীদের জন্য সময়মতো বই পাওয়া সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে।