ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: চোখের পাতা কাঁপা(Eye Twitching)খুবই সাধারণ একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোজকার কাজের ফাঁকে এই চোখের পাতার কাঁপুনি অপ্রস্তুতে ফেলে দিতে পারে। উভয় চোখের ক্ষেত্রেই এমন কাঁপুনি হতে পারে। কখনও এটি কয়েক মুহূর্তের জন্যে দেখা দেয়, আবার কখনও এটি দীর্ঘস্থায়ীও হতে পারে। এই চোখের পাতা কাঁপা নিয়ে আবার নানারকম বিশ্বাস প্রচলিত আছে। অনেকের মতে, বাম চোখের পাতা লাফালে কোনও না কোনও বিপদ আসন্ন। এমনটা হলে বাড়ির আত্মীয়রা যথেষ্ট দুশ্চিন্তায় থাকেন। আবার ডান চোখ কাঁপলে তার শুভ-অশুভ ইঙ্গিত নির্ভর করে ব্যক্তির উপর। যদি মহিলাদের ডান চোখ কাঁপে, তবে তা অশুভ বলে ধরা হয়। পুরুষদের ক্ষেত্রে অবশ্য ডান চোখ কাঁপার অর্থ তার মনের ইচ্ছে পূরণ হওয়ার সময় এসেছে। তবে এই প্রচলিত বিশ্বাসের বাইরে রয়েছে আরও কারণ। জানেন কি সেই কারণ ? ক্রমাগত চোখের পাতা কাঁপতে থাকলে স্নায়ুর সমস্যার উপসর্গ বলে ধরা যেতে পারে। তার জন্যে প্রথমে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
চোখের পাতা কাঁপার কারণ:(Eye Twitching)
১) চিকিৎসকেদের মত অনুযায়ী, মূলত চোখের উপর অতিরিক্ত স্ট্রেস পড়লে চোখের পাতা কাঁপে(Eye Twitching) । যান্ত্রিকতার যুগে সব কাজই প্রায় কম্পিউটার ও ফোন মারফত হয়ে থাকে। এর ফলে দীর্ঘ সময় ধরে চোখের উপর ডিজিটাল পর্দার আলো পড়ে। এর থেকেই চোখের পাতা কাঁপার মতো ঘটনা ঘটে।
২) কম ঘুম হলেও লাফাতে পারে চোখের পাতা। ঘুম শরীরের স্ট্রেস দূর করতে সাহায্য করে। দীর্ঘ সময় ধরে জেগে থাকার ফলে চোখের পাতা লাফিয়ে(Eye Twitching) ঘুমের দাবিই জানায়।

৩) কোনও নির্দিষ্ট বস্তুতে অ্যালার্জি থাকলে তার থেকেও ঘটতে পারে এমন ঘটনা। বস্তুটি চোখের আশেপাশে থাকলে চোখের পাতা স্বাভাবিকভাবে লাফিয়ে চোখকে বাঁচানোর চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: Sugar Cravings : মিষ্টি দেখলেই ডায়েট বানচাল ? কি ভাবে এড়াবেন মিষ্টি প্রীতি ? রইল সমাধান…
৪)ধূমপান বা মদ্যপানের ফলেও চোখের পাতা লাফানো স্বাভাবিক ঘটনা। চিকিৎসার পরিভাষায় এই সমস্যাকে মায়কোমিয়া বলা হয়।

৫)রোজ অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যাফেইনজাতীয় তরল পান করলেও মায়কোমিয়ার উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন: Sugar Alternatives: চিনিকে বলুন বাই বাই, রইল ৫ বিকল্প প্রাকৃতিক উপাদানের হদিশ
কী ভাবে পাবেন প্রতিকার:(Eye Twitching)
১) পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমোন।
২) উদ্বেগমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।
৩) অতিরিক্ত চা, কফি পান করা বন্ধ করুন।

৪) ঘন ঘন ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করুন।
৫) শরীর এবং মনকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিন।