ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন বিভাগের অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্র ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার সাথে সাথে ছাত্রদের বিক্ষোভের মুখোমুখি হন। এই ঘটনার ন’দিন পর অধ্যাপক মিশ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরলে, ছাত্রছাত্রীরা তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, ওমপ্রকাশ ঘটনার দিন দুজন ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেছেন এবং তাঁদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছেন। ছাত্রদের দাবি, ‘‘এই ধরনের অধ্যাপকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসলে ক্যাম্পাসে আরও ঘটনা ঘটবে।’’
অধ্যাপকের বক্তব্য (Jadavpur University)
অধ্যাপক মিশ্র এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি একজন বর্ষীয়ান এবং অভিজ্ঞ অধ্যাপক (Jadavpur University)। আমাকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কেন আমাকে মারধর করা হয়েছে, তার জবাব তাঁদের দিতে হবে। আমাকে কালিমালিপ্ত করতে এসব ঘটানো হচ্ছে।”
প্রতিবাদ ছাত্র-ছাত্রীদের (Jadavpur University)
তবে ছাত্র-ছাত্রীরা তাঁর যুক্তি মেনে নিতে রাজি (Jadavpur University) নন। তাঁরা অধ্যাপককে ঘরের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে মাটিতে বসে প্রতিবাদ জানান, দাবী করেন যে, তাঁরা মাড়িয়ে অধ্যাপককে বিভাগে ঢুকতে দেবেন না।
আরও পড়ুন: Jadavpur Incident: হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন যাদবপুরের উপাচার্য, ছাত্রদের সঙ্গে বৈঠক কবে?
পরিস্থিতি কেমন?
বিশৃঙ্খলা এড়াতে সোমবার সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে কড়া পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ওমপ্রকাশের ঢোকার সময় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের আশপাশে প্রচুর পুলিশকর্মী মোতায়েন ছিল। উল্লেখ্য, মাত্র কিছুদিন আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ ঢোকা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু তখন জানিয়েছিলেন, তিনি শিক্ষাঙ্গনে পুলিশি নিরাপত্তা চান না। অথচ, এই দিন পরিস্থিতি পুরোপুরি পাল্টে গেছে।
বৈঠক কবে?
অন্যদিকে, যাদবপুরের পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দেওয়া সময়সীমার আগেই সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বৈঠক ডেকেছিলেন। এই বৈঠকে ছাত্রদের দুই প্রতিনিধি উপস্থিত হওয়ার কথা থাকলেও তারা আসেননি। পড়ুয়ারা যুক্তি দেন, ঘটনার ন’দিনের মাথায় সোমবার বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। তাই বিকেল ৩টের দিকে বৈঠকে আসবেন বলে জানিয়েছেন তারা।

পড়ুয়াদের দাবি
সোমবারের বৈঠকের পর যাদবপুরে চলমান অচলাবস্থা কাটতে পারে বলে আশা করছেন অনেকে। পড়ুয়ারা আগে থেকেই দাবি জানিয়েছিলেন যে, দুপুর ১টার মধ্যে এগ্জ়িকিউটিভ কাউন্সিলের (ইসি) বৈঠক ডাকা হোক। কর্তৃপক্ষের বৈঠক শুরু করার পদক্ষেপকে ছাত্রদের দাবির প্রতি সাড়া দেওয়ার চিহ্ন হিসেবেই দেখা হচ্ছে।