ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ (WhatsApp Group) থেকে বের করে দিয়েছিলেন অ্যাডমিন (WhatsApp Group Admin)। আর সেই রাগেই অ্যাডমিনকে খুন করেছেন এক ব্যক্তি। এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আশফাক। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, মুস্তাক আহমেদ নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে খুন করেছেন তিনি। খুনের পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত আশফাক। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অভিযুক্তের খোঁজ পেতে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
খুনের পরিকল্পনা করেই সঙ্গে বন্দুক (WhatsApp Group)
হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের (WhatsApp Group) অ্যাডমিন মুস্তাক আহমেদের সঙ্গে কোনও বিষয় নিয়ে বিবাদ হয়েছিল আশফাকের। যার জেরে আশফাককে গ্রুপ থেকে বের করে দেন মুস্তাক। এই ঘটনার পর নিজেদের মধ্যে সমস্যা মিটিয়ে নিতে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন দুজন। সেই মতো গত বৃহস্পতিবার মোস্তাকের সঙ্গে দেখা করতে আসে আশফাক। তবে মোস্তাককে খুনের পরিকল্পনা করেই সঙ্গে করে বন্দুক নিয়ে আসে অভিযুক্ত। কেউ কিছু বুঝে ওঠার মোস্তাককে লক্ষ্য করে সে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মোস্তাকের।
হোয়াটঅ্যাপ গ্রুপে ঝামেলা (WhatsApp Group)
মোস্তাকের দাদা হুমায়ূন খান বলেন, এই হামলার সময় তিনি নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর কথায়, ‘এমন ঘটনা যে ঘটতে পারে সে বিষয়ে আমাদের কোনও ধারণাই ছিল না। হোয়াটঅ্যাপ গ্রুপে (WhatsApp Group) যে ওদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে আমরা সেটাও জানতাম না। পরে জানতে পারি গ্রুপ থেকে বের করে দেওয়ার জন্য আমার ভাইকে খুন করেছে আশফাক।’ মুস্তাককে খুনের পর ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যান আশফাক। প্রশ্ন উঠেছে। কীভাবে এত সহজে আশফাক অস্ত্র পেলেন, আর সামান্য একটা বিষয়ের জন্য কেউ কাউকে কীভাবে খুন করে দিতে পারেন।
আরও পড়ুন: Elon Musk: এক্স-এর পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার জন্য সাইবার আক্রমণকে দায়ী করলেন ইলন মাস্ক
তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারে, বৃহস্পতিবার বিকেলে মুশতাক আহমেদ নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। জানা যাচ্ছে ঘটনায় অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কেবলমাত্র হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বের করে দেওয়ার জন্যই খুন হতে হল মুস্তাক আহমেদকে নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনো বড় কারণ। এই বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে পাকিস্তানী পুলিশ।