ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দিল্লিতে সম্প্রতি কোভিডের মতো (Viral Fever) উপসর্গ দেখা দিচ্ছে অনেকের মধ্যে। গত সপ্তাহের রিপোর্ট অনুযায়ী, শহরের ৫০ শতাংশের বেশি বাড়িতে ভাইরাল জ্বর, নিউমোনিয়া ও ডায়েরিয়ার সমস্যা দেখা দিয়েছে। অনেকের উপসর্গ কোভিডের মতো হলেও, চিকিৎসকদের মতে, এই পরিস্থিতির মূল কারণ আবহাওয়ার পরিবর্তন।
ভাইরাল সংক্রমণের ঝুঁকি (Viral Fever)
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অনির্বাণ দলুই জানান, তাপমাত্রার অস্থিরতা এবং আবহাওয়ার (Viral Fever) দ্রুত পরিবর্তনের ফলে জীবাণুরা দ্রুত বংশবিস্তার করছে। অ্যাডিনোভাইরাস ও রাইনো ভাইরাসের সংক্রমণ এই সময়ে বেশি দেখা যাচ্ছে। তবে কোভিডের প্রকৃত সংক্রমণ এখনও নিশ্চিত নয়, এবং এই রাজ্যে কোভিড ছড়ানোর আশঙ্কা তেমন দেখা যাচ্ছে না। তবুও, শিশু ও প্রবীণদের মধ্যে এই ভাইরাল সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে।
চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি (Viral Fever)
যখন শরীরে উপসর্গ দেখা দেয়, তখন চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার (Viral Fever) প্রয়োজন হতে পারে। বিশেষত, জ্বর, সর্দিকাশি, নাক বন্ধ ও গলাব্যথা ক্রমাগত চলতে থাকলে, অথবা দ্রুত শ্বাস নিতে হলে, চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। নিউমোনিয়ার লক্ষণ যেমন বুক ধড়ফড় করা বা শ্বাস নিতে অসুবিধা হলে তাতেও দ্রুত চিকিৎসকের সাহায্য নিতে হবে।
আরও পড়ুন: Headache Relief Tips: অসহ্য মাথা ব্যথা? ঘরোয়া এই পাঁচ উপায়েই লুকিয়ে সমাধান
উপসর্গ কী কী আছে?
অ্যাডিনোভাইরাস সংক্রমণের ফলে গলা ও ঘাড়ের গ্ল্যান্ড ফুলে যেতে পারে এবং শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হতে পারে। আর রোটাভাইরাসের সংক্রমণে ঘন ঘন ডায়েরিয়া হতে পারে। এই ধরনের ভাইরাল জ্বরে সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন পড়ে না। চিকিৎসক অরুণাংশু তালুকদারের মতে, জ্বর হলে প্যারাসিটামল খাওয়া উচিত, অন্য কোনো ওষুধ নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
সতর্কতা অবলম্বন
জ্বর হলে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। মাস্ক পরা এবং হাত ধোয়ার বিষয়ে যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন। বিশেষত বাইরে থেকে এসে হাত ভালো করে ধোয়ার পরেই ঘরে ঢুকতে হবে। নাক বন্ধ হলে নাকের ড্রপ ব্যবহার করা যেতে পারে, আর গলাব্যথা হলে গরম জলে স্টিম নেওয়া উপকারি হতে পারে।
মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন
বেশি ভিড় বা জমায়েতে যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সময় মাস্ক পরা এবং স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখা উচিত। শিশুদের খাদ্যাভ্যাসে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। রাস্তার খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে এবং বাড়িতে কম তেলে রান্না করা খাবার খাওয়াতে হবে।

তিন দিনের বেশি জ্বর?
অবশেষে, তিন দিনের বেশি জ্বর থাকলে অপেক্ষা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সচেতনতা ও সঠিক যত্নই আমাদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।