ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : শহরে ফের ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা। কুমোরটুলির পর এবার কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে (Kalyani Expressway) একই কায়দায় দেহ লোপাটের চেষ্টা। কুমোরটুলি কাণ্ডে অভিযুক্ত মা-মেয়ের মতোই, এবার ট্রলিতে মৃতদেহ ভরে পাচারের চেষ্টার পথে হাতেনাতে পাকড়াও দুই যুবক। অ্যাপ ক্যাব চালকের তৎপরতার ফলে রহস্য উদ্ঘাটিত হয়। টহলদারি পুলিশের তৎপরতায় ঘটনাস্থল থেকেই একজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। পলাতক আরেক অভিযুক্তকে বুধবার সকালে মুক্তারাম বাবু স্ট্রিট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ট্রলি ব্যাগ থেকে যুবকের দেহ উদ্ধার (Kalyani Expressway)
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নীল রঙের ট্রলি ব্যাগে এক যুবকের মৃতদেহ ঢোকানো হয়েছিল। মৃতের মুখ টেপ দিয়ে সম্পূর্ণ আটকে দেওয়া ছিল, আর হাত-পাও ছিল প্লাস্টিক টেপ দিয়ে বাঁধা। মৃতের নাম ভাগা রাম। বাকি দুই ধৃত ব্যক্তির নাম করণ সিং এবং কৃষ্ণপাল সিং। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, টাকা-পয়সা নিয়ে ঝামেলার কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে (Kalyani Expressway)।
আরও পড়ুন : WB River Erosion: নদী ভাঙন রোধে বিশেষ ঘোষণা সেচ মন্ত্রীর, বিজেপিকে কড়া উত্তর!
কি ঘটেছে ? (Kalyani Expressway)
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ দমদম (Dum Dum) নাগেরবাজার থেকে দুই ব্যক্তি একটি অ্যাপ ক্যাব বুক করেন। চালক জানিয়েছেন, তাদের সঙ্গে ছিল একটি নীল রঙের ট্রলি ব্যাগ। এরপর তারা নিমতা হয়ে মুড়াগাছা ব্রিজ হয়ে ঘোলা মহিষপোতার কাছে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের (Kalyani Expressway) ধারে একটি অন্ধকার স্থানে গাড়ি দাঁড় করাতে বলেন ওই দুই যুবক। এমন একটি জায়গায় গাড়ি থামানোর কারণে চালকের মনে সন্দেহ হয়। তিনি লক্ষ্য করেন, ওই দুই যুবক ট্রলিটি নামাতে বেশ বেগ পাচ্ছেন। চালক তাদেরকে সরাসরি প্রশ্ন করেন, তারা কেন ওই জায়গায় নামতে চাইছে এবং ট্রলিতে কী রয়েছে। তখন অভিযুক্তরা চালকের সঙ্গে তর্ক শুরু করে।
অভিযোগ, চালককে থামিয়ে অতিরিক্ত টাকা দেওয়ারও চেষ্টা করা হয়। এই পরিস্থিতিতে চালক পুলিশের টহলদারি ভ্যান থামিয়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বলেন। তখনই, দুজনের মধ্যে একজন পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে বুধবার সকালে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন : Birbhum: বীরভূমে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি দুষ্কৃতীদের! গ্রেপ্তার ৩, মাদক পাচার নাকি ডাকাতি?
ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে খুন ?
এরপর ট্রলি ব্যাগ খুলতেই মৃতদেহ উদ্ধার হয় এবং খুনের অস্ত্রও পাওয়া যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ঘোলা থানার পুলিশ পৌঁছায়। মৃতদেহ উদ্ধার করার পাশাপাশি বেশ কিছু নথিও উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মৃত ব্যক্তি রাজস্থানের (Rajasthan) বাসিন্দা ভাগা রাম, যিনি কাপড়ের ব্যবসায়ী। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত করণ ও কৃষ্ণপাল ভাগারামের কাছে আট লাখ টাকা পেতেন, যা না পাওয়ার কারণেই তারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল।