ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ঢাকার আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সোমবার সকালে (Liberation War Museum Fire) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় সেখানে কিছু ক্ষতি হলেও, ট্রাস্টি সারাওয়ার আলি জানিয়েছেন যে এই ঘটনাটি সম্পূর্ণ দুর্ঘটনামূলক এবং কোনও বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। তদন্তকারীরা এই আগুনের কারণ জানার জন্য তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন।
নেভানো হয়েছে আগুন (Liberation War Museum Fire)
সকাল ৯টার দিকে জাদুঘরের নীচের তলায় জেনারেটর রুমে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে আগুন (Liberation War Museum Fire) লেগেছে বলে জানা যায়। স্থানীয় পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও নিরাপত্তাকর্মীরা দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। ফায়ার সার্ভিসের মহম্মদপুর স্টেশন থেকে দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে মাত্র পৌনে এক ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিভিয়ে ফেলে।
লক্ষ টাকার ক্ষতি (Liberation War Museum Fire)
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, আগুনে প্রায় (Liberation War Museum Fire) ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে, তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ৫০ লাখ টাকার সম্পদ উদ্ধার করতে সক্ষম হন। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক জানান, শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং জেনারেটরের সামান্য ক্ষতি হয়েছে, তবে জাদুঘরের অন্যান্য অংশে আগুন ছড়াতে পারেনি। তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, জাদুঘরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: Iran-US: ট্রাম্পের আলোচনার আহ্বানে নতি স্বীকার করবে না ইরান!
চক্রান্ত নাকি?
এদিকে, বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির বাড়িতে আগুন লাগার ঘটনার পর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণের প্রতি উদ্বেগ আরও বেড়ে গেছে। অনেকেই মনে করছেন, এটি একটি চক্রান্ত হতে পারে। মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের সময় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল, যা এবারও নতুন করে সামনে আসছে।
ধর্ষণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
একই দিনে ঢাকায় ধর্ষণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে। এক নাবালিকার ধর্ষণের ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নারীদের প্রতি অত্যাচারের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

সরব তসলিমা
বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্পী তসলিমা নাসরিন তার সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন, “মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আগুন কে দিয়েছে? খবর পেলাম বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে আগুন, এবং আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে। এমনও তো হতে পারে যে একটুখানি পোড়ানো হলো এখন, সবটা পরে পোড়ানো হবে। ৩২ যেমন একটুখানি ভাঙ্গা হয়েছিল, পরে পুরোটাই ভেঙ্গে দেওয়া হলো। রাজাকারের বাচ্চাদের হাতে যখন ক্ষমতা, তখন মুক্তিযুদ্ধের জাদুঘর অক্ষত থাকবেই বা কেন? আমি বরং এক পাল শূকরের হাতে দেশ দিয়ে নিশ্চিন্তে থাকতে পারবো, রাজাকার আর জিহাদিদের হাতে দেশ দিয়ে নয়।”
