ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গ্রিনল্যান্ডের (Greenland Election) নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার তাঁর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাঁর এ আগ্রহের বিষয়টি গ্রিনল্যান্ডকে আলোচনার কেন্দ্রে এনেছে। ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ডে গতকাল মঙ্গলবার সাধারণ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হলো। এর আগে গ্রিনল্যান্ডের সাধারণ নির্বাচনের ভোট বাইরের বিশ্বের খুব কমই দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরেছে। এবার এক ভিন্ন আবহের কারণে এ ভোট বাইরের বিশ্বের নজর কাড়ছে।
ভবিষ্যতের জন্য এ ভোট গুরুত্বপূর্ণ (Greenland Election)
গ্রিনল্যান্ড (Greenland Election) প্রায় ৩০০ বছর ধরে ডেনমার্কের নিয়ন্ত্রণে। দ্বীপটির পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষানীতি-সংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয় কোপেনহেগেনে। আর্কটিক অঞ্চলটির ভবিষ্যতের জন্য এ ভোট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার তাঁর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাঁর এ আগ্রহের বিষয়টি গ্রিনল্যান্ডকে আলোচনার কেন্দ্রে এনেছে। ডেনমার্কের মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার দূরে দ্বীপটির অবস্থান। নিজস্ব অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো পরিচালনা, দেখভালের দায়িত্ব দ্বীপটির স্বায়ত্তশাসিত কর্তৃপক্ষ পালন করে।
গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার বিষয়ে ট্রাম্প (Greenland Election)
অব্যবহৃত খনিজ সম্পদের কারণে দ্বীপটির (Greenland Election) ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নজর পড়েছে। তিনি তাঁর ক্ষমতার প্রথম মেয়াদে ২০১৯ সালে গ্রিনল্যান্ড কেনার ধারণাটি প্রথম সামনে এনেছিলেন। গত জানুয়ারিতে ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা গ্রহণ করেন। ক্ষমতায় বসার পর থেকে তিনি দ্বীপটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার বিষয়ে তাঁর ইচ্ছার কথা বারবার বলে আসছেন। তবে ট্রাম্পের এই আগ্রহের বিষয়টি গ্রিনল্যান্ড ও ডেনমার্কের নেতারা বারবার নাকচ করেছেন। গত সপ্তাহে মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দেন ট্রাম্প। ভাষণে তিনি বলেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গ্রিনল্যান্ড আমাদের দরকার। যেকোনো উপায়ে আমরা এটি অর্জন করব।’
আরও পড়ুন: Balochistan Train Hijack: বালোচিস্তানে ট্রেন হাইজ্যাকের ঘটনায় পণবন্দি ১৮২, মৃত ২০
ছয়টি দলের প্রার্থীরা লড়ছেন
দ্বীপটির জনসংখ্যা ৬০ হাজারের কিছুটা কম। ভোটার প্রায় ৪৪ হাজার। স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপটির ৩১ আসনের পার্লামেন্টে চার বছর অন্তর অন্তর নির্বাচন হয়। পার্লামেন্টে এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য ১৬ আসন পেতে হয়। আজকের নির্বাচনে ছয়টি দলের প্রার্থীরা লড়ছেন। নির্বাচনের ফলাফল আগামীকাল বুধবার সকাল নাগাদ পাওয়া যেতে পারে। গ্রিনল্যান্ডে বর্তমানে ক্ষমতায় আছে দুটি দলের জোট সরকার। দল দুটি হলো কমিউনিটি অব দ্য পিপল (আইএ) ও ফরোয়ার্ড (এস)। গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মুট এগেদে।
বামপন্থী জোট আবার জিতবে?
এগেদের ক্ষমতাসীন বামপন্থী জোট আবার জিতবে কি না, তা ভবিষ্যদ্বাণী করতে দ্বিধান্বিত বিশ্লেষকেরা। যে ছয়টি দল নির্বাচনে লড়ছে, তার মধ্যে পাঁচটিই ডেনমার্ক থেকে গ্রিনল্যান্ডের স্বাধীনতার পক্ষে। তবে তা কত দ্রুত হওয়া উচিত, তা নিয়ে এই দলগুলোর মধ্যে মতভেদ রয়েছে