ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডির সমালোচনা করে ভিডিয়ো প্রকাশ (Journalists Arrested) করা হয়েছিল সমাজমাধ্যমে। ওই ভিডিয়োর জন্য রেবন্তের সম্মানহানি হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ জানান এক কংগ্রেস নেতা। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তেলঙ্গানার একটি ইউটিউ়ব চ্যানেলের দুই সাংবাদিককে গ্রেফতার করল হায়দরাবাদ পুলিশের সাইবার শাখা। ধৃতদের মধ্যে ৪৪ বছর বয়সি পি রেবতী ইউটিউব চ্যানেলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে রয়েছেন। অপর জন ২৫ বছর বয়সি বি সন্ধ্যা।
রেবন্তের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য (Journalists Arrested)
তেলঙ্গানার প্রদেশ কংগ্রেসের সমাজমাধ্যম শাখার এক নেতা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। তাঁর বক্তব্য, গত ১০ মার্চ সমাজমাধ্যমে তিনি একটি ভিডিয়ো দেখতে পান। সেটি একটি সাক্ষাৎকারের ভিডিয়ো ছিল। এক ইউটিউব চ্যানেলের প্রতিনিধি ওই সাক্ষাৎকারটি নিচ্ছিলেন বলে পুলিশকে জানান তিনি। অভিযোগকারীর দাবি, ওই ভিডিয়োয় মুখ্যমন্ত্রী রেবন্তের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়েছে (Journalists Arrested)। মুখ্যমন্ত্রীর ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করে অশান্তি পাকানোর উদ্দেশে ইচ্ছাকৃত ভাবে ওই ভিডিয়োটি তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি ওই কংগ্রেস নেতার।
কৃষকের সরকারের তীব্র সমালোচনা (Journalists Arrested)
তেলেঙ্গানার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম পালস নিউজের এমডি পোগাদাদন্দ রেবতি এবং ওই সংবাদমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিক থানভি যাদব সোশাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত সংক্রান্ত একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। সেই ভিডিও-তে তেলেঙ্গানার এক কৃষকের সাক্ষাতকার রেকর্ড করা ছিল। ওই কৃষক সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন এবং মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে ‘কুকথা’ বলেছেন বলে অভিযোগ। ভিডিওটি নিজের হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন সাংবাদিক থানভি যাদব (Journalists Arrested)। তারপরই সেটা নিয়ে পুলিশে অভিযোগ করেন তেলেঙ্গানা কংগ্রেসের সোশাল মিডিয়া টিমের প্রধান।
আরও পড়ুন: Modi In Mauritius: মরিশাসের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান প্রদান মোদীকে, কী বললেন মোদী?
বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি বাজেয়াপ্ত
মুখ্যমন্ত্রীর সম্মানহানির অভিযোগ পাওয়ার পরেই পদক্ষেপ করে পুলিশ। গ্রেফতার করে ওই ইউটিউব চ্যানেলের দুই সাংবাদিককে। প্রশাসনের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর মানহানি করার উদ্দেশ্যে ভিডিয়ো তৈরি এবং তা প্রচারের ক্ষেত্রে উভয়েরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তাঁদের থেকে দু’টি ল্যাপটপ, হার্ড ডিস্ক, সাতটি সিপিইউ-সহ বেশ কিছু বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এবং তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
‘সাংবাদিকদের স্বাধীনতার কথাই বলা আছে’
বিরোধী দল ভারত রাষ্ট্র সমিতির নেতা কেটি রামা রাও সোজা রাহুল গান্ধীকে কাঠগড়ায় তুলে প্রশ্ন করছেন, “এই আপনার মহব্বত কি দুকান? দুই মহিলা সাংবাদিককে এভাবে ভোররাতে তুলে নিয়ে গিয়ে গ্রেপ্তার করা হল, তাঁদের অপরাধ কী? আপনি যে সংবিধানের বই সবাইকে দেখান, সেটাতেও সাংবাদিকদের স্বাধীনতার কথাই বলা আছে।”