ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ঔরঙ্গজেবের সমাধি সরানোর দাবিতে ডানপন্থী সংগঠনগুলির বিক্ষোভের (Nagpur Violence) সময় একটি সম্প্রদায়ের পবিত্র গ্রন্থের অবমাননা করা হয়েছে বলে গুজবের মধ্যেই সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে হিংসার ঘটনা শুরু হয় নাগপুরে।
পাথর ছোঁড়া, অগ্নিসংযোগে আতঙ্ক ছড়াল (Nagpur Violence)
নাগপুরে (Nagpur Violence) সোমবার রাতে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে, যার ফলে শহরের কেন্দ্রস্থলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। চিৎনিস পার্ক ও হংসপুরীর বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাদের বাড়ির জানালা ভাঙা হয়েছে, গাড়ি ও মোটরবাইকে আগুন লাগানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসন বড় জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
স্কুল বন্ধ, মোতায়েন হলো পুলিশ (Nagpur Violence)
মঙ্গলবার সকাল থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশের বিশাল বাহিনী মোতায়েন করা হয় (Nagpur Violence)। সংঘর্ষের জেরে নাগপুরের বেশ কয়েকটি স্কুল বন্ধ রাখা হয়।
গুজব থেকে ছড়ালো সংঘর্ষ
সোমবার সন্ধ্যা সাতটার পর থেকেই শহরে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। অভিযোগ, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) ও বজরং দল ঔরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানোর সময় এক সম্প্রদায়ের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ অবমাননার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই সংঘর্ষ শুরু হয়, যাতে ৩০ জনের বেশি মানুষ আহত হন, যাদের মধ্যে পুলিশের সদস্যরাও রয়েছেন।
আতঙ্কের মধ্যে রাত কাটালেন বাসিন্দারা
চিৎনিস পার্কের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মুখ ঢাকা একদল লোক এলাকা ঢুকে বাড়ির জানালা ও জল ঠান্ডা করার মেশিন ভেঙে ফেলে। গলিতে রাখা গাড়ি ও বাইকেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয়রাই নিজেরাই জল এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন।
আরও পড়ুন: Ashwini Vaishnaw: রেলের প্রকল্পের জন্য সাহায্য করছে না রাজ্য সরকার, অভিযোগ রেলমন্ত্রীর
রাত সাড়ে দশটা নাগাদ হংসপুরী এলাকায় নতুন করে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। ওল্ড ভান্ডারা রোডের কাছে একটি চিকিৎসা কেন্দ্রেও হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা।
মুখ ঢাকা দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব
এলাকার বাসিন্দা বংশ কাওলে জানান, মুখ ঢাকা দুষ্কৃতীরা এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে দেয় এবং জোর করে ঘরে ঢোকার চেষ্টা করে। এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, হামলাকারীরা একটি মেডিক্যাল সেন্টারেও ঢুকে ওষুধপত্র নষ্ট করে এবং টেবিল ভেঙে ফেলে।
আরও পড়ুন: Gold Biscuits Seized: বন্ধ ফ্ল্যাট, উদ্ধার কেজি কেজি সোনা, কোটি টাকার গয়না!
এক ঘণ্টা ধরে চলল তাণ্ডব
অন্য এক বাসিন্দা, ৫০ বছরের শরদ গুপ্তা বলেন, তার বাড়ির সামনে রাখা চারটি বাইক দুষ্কৃতীরা পুড়িয়ে দেয় এবং বিশাল পাথর ছুঁড়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করে। তিনি জানান, রাত ১০.৩০ থেকে ১১.৩০ পর্যন্ত এই হামলা চলে এবং তিনি নিজেও আহত হন।
“পরিকল্পিত চক্রান্ত”, বললেন মুখ্যমন্ত্রী
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস বিধানসভায় বলেন, এই হিংসা পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ। তিনি বলেন, “গুজব ছড়ানো হয়েছিল যে ধর্মীয় বস্তু পোড়ানো হয়েছে… এটি একটি পরিকল্পিত হামলা বলে মনে হচ্ছে।”