ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ঔরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের জন্য একটি দক্ষিণপন্থী সংগঠনের আন্দোলনের (Eknath Shinde on Nagpur Violence) সময় একটি সম্প্রদায়ের পবিত্র গ্রন্থ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে এমন গুজবের পর নাগপুরে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় মুখ খুলেছেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং বর্তমান উপমুখ্যমন্ত্রি একনাথ শিন্ডে। কী বলেছেন তিনি?
শিব জয়ন্তীতে মুখ খুললেন মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী (Eknath Shinde on Nagpur Violence)
মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে বলেছেন, যারা এখনও ঔরঙ্গজেবের প্রশংসা করেন, তারা দেশদ্রোহী (Eknath Shinde on Nagpur Violence)। তিনি বলেন, মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব মহারাষ্ট্র দখল করতে চেয়েছিলেন এবং রাজ্যে নানা অত্যাচার চালিয়েছিলেন।
শিবাজি মহারাজের মূর্তি উন্মোচনে বক্তব্য (Eknath Shinde on Nagpur Violence)
সোমবার রাতে ‘শিব জয়ন্তী’ উপলক্ষে তিনি এই মন্তব্য করেন (Eknath Shinde on Nagpur Violence)। ঠাণে জেলার ডোম্বিভলির ঘারদা চকে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের অশ্বারোহী মূর্তি উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, মারাঠা রাজা শিবাজি মহারাজ ছিলেন বীরত্ব, আত্মত্যাগ এবং হিন্দুত্বের প্রতীক।
শিব সেনা প্রধানের এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে, যখন কয়েকটি ডানপন্থী সংগঠন মহারাষ্ট্রের ছত্রপতি সাম্ভাজিনগর জেলায় অবস্থিত ঔরঙ্গজেবের সমাধি সরানোর দাবি জানিয়েছে।
নাগপুরের হিংসার প্রসঙ্গ
প্রসঙ্গত, সোমবার নাগপুরের কেন্দ্রস্থলে বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, একটি ডানপন্থী সংগঠন ঔরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করার সময় এক সম্প্রদায়ের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পোড়ানো হয়েছিল।
“শিবাজি মহারাজ গণতন্ত্রের পথপ্রদর্শক”
শিন্ডে বলেন, শিবাজি মহারাজ শুধু হিন্দুত্ব ও ভারতীয় গৌরবের প্রতীকই নন, তিনিই গণতন্ত্রের উদ্ভাবক। তিনি আরও বলেন, “ঔরঙ্গজেব মহারাষ্ট্র দখল করতে এসেছিলেন, কিন্তু তিনি শিবাজি মহারাজের ঐশ্বরিক শক্তির সামনে পরাজিত হন। যারা এখনও তার প্রশংসা করেন, তারা বিশ্বাসঘাতক।”
আরও পড়ুন: Nagpur Violence: ঔরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের ডাক ঘিরে আতঙ্কের রাত নাগপুরে
তিনি বলেন, “শিব ছত্রপতি হলেন একীভূত ভারতের গর্ব এবং হিন্দুত্বের গর্জন। তিনি ছিলেন দূরদর্শী নেতা, ন্যায়বিচারের প্রবক্তা এবং সাধারণ মানুষের রাজা।”
যুবসমাজের প্রতি আহ্বান
উপ-মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডে বলেন, জনগণের উচিত শিবাজি মহারাজের অন্তত একটি গুণ নিজেদের জীবনে গ্রহণ করা। সেটাই হবে মহান মারাঠা শাসকের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধাঞ্জলি। তিনি আরও বলেন, এই মূর্তি মহারাষ্ট্রের গৌরবময় ইতিহাসের প্রতীক হয়ে থাকবে এবং যুবসমাজ ও আগামী প্রজন্মকে শিবাজি মহারাজের বীরত্ব ও শাসননীতি থেকে অনুপ্রাণিত করবে।
আরও পড়ুন: Ashwini Vaishnaw: রেলের প্রকল্পের জন্য সাহায্য করছে না রাজ্য সরকার, অভিযোগ রেলমন্ত্রীর
ঘারদা চক-এর নতুন নাম
একনাথ শিন্ডে ঘোষণা করেন, এখন থেকে ঘারদা চক ‘ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ চক’ নামে পরিচিত হবে। তার এই ঘোষণার পর সমবেত জনতা উচ্ছ্বসিতভাবে হাততালি দেন এবং “জয় ভবানী, জয় শিবাজি” ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।
তিনি আরও বলেন, মহারাষ্ট্র সরকার শিবাজি মহারাজের আদর্শ অনুসরণ করে উন্নয়ন ও জনমুখী শাসন প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।