Last Updated on [modified_date_only] by Shroddha Bhattacharyya
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: হুগলিতে জেলা বর্তমানে নাবালিকা নিখোঁজ এবং বাল্যবিবাহের ঘটনায় (Missing Girl Child) চরম উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে। জাতীয় মহিলা কমিশনের (NCW) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এক বছরে শুধুমাত্র হুগলি জেলা থেকে ৮০০-রও বেশি নাবালিকা নিখোঁজ হয়েছে। এই ঘটনাগুলির মধ্যে বেশিরভাগই হুগলির গ্রামীণ অঞ্চলে ঘটেছে, যা প্রশাসন এবং মহিলা কমিশনের জন্য গভীর চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পাচার চক্রের যোগ! (Missing Girl Child)
কমিশনের মতে, এই প্রবণতার জন্য অন্যতম প্রধান কারণ হল মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত (Missing Girl Child) ব্যবহার। বিশেষ করে, সমাজ মাধ্যমে অপরিচিতদের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তোলা, ব্ল্যাকমেলিং বা প্রতারণার শিকার হওয়ার ফলে নাবালিকারা নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে পাচার চক্রের হাতেও তারা পড়ছে, যা আরও বেশি আতঙ্কের সৃষ্টি করছে।
পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক (Missing Girl Child)
এই পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার চুঁচুড়ার সার্কিট হাউসে (Missing Girl Child) হুগলি জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনের সাথে এক বৈঠক করেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যা অর্চনা মজুমদার। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হুগলির অতিরিক্ত জেলা শাসক (ডেভেলপমেন্ট) এবং গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সরকার। বৈঠক শেষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মহিলা কমিশন জানিয়েছে, হুগলির গ্রামীণ অঞ্চলে নাবালিকা নিখোঁজের হার অত্যন্ত উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: Bhatar Police Station: থানার সামনে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতীর চেষ্টা প্রৌঢ়ের, অবশেষে মৃত্যু
বিপদের কারণ?
অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের ফলে মেয়েরা বিপদে পড়ছে বলে কমিশন মনে করছে। একদিকে, অপরিচিতদের সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠছে, অপরদিকে, পাচারকারী চক্রের সাথে তাদের সম্পর্কের কারণে তারা নিখোঁজ হচ্ছে। এর ফলে এলাকায় নিরাপত্তার অভাব এবং সচেতনতার অভাব বেড়ে চলেছে।
বাল্যবিবাহের ঘটনা
এছাড়া, হুগলিতে বাল্যবিবাহের ঘটনা তো আর এক আতঙ্কের বিষয়। বিশেষত আরামবাগ মহকুমায় স্কুলপড়ুয়া মেয়েদের জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়ার ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মহিলা কমিশন জানায়, যদিও কিছু নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়েছে, তবে অভিভাবকরা সহজে শাস্তি থেকে বেঁচে যান। এবার মহিলা কমিশন তাদের কর্মকাণ্ডে কঠোরতা আনার জন্য সুপারিশ করেছে। কমিশন জানিয়েছে, যদি প্রয়োজন হয়, অভিভাবকদেরও আইনের আওতায় আনা হতে পারে এবং তাদের শাস্তির আওতায় আনা হতে পারে।
পরিস্থিতির মোকাবেলা
এই বিষয়গুলি মোকাবেলা করতে পুলিশকে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে এবং সচেতনতা শিবির চালানোর পাশাপাশি স্কুলে বিশেষ পাঠ্যক্রম চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করলে আশা করা হচ্ছে যে, হুগলির গ্রামীণ সমাজে নাবালিকাদের নিখোঁজ এবং বাল্যবিবাহের প্রবণতা রোধ করা সম্ভব হবে। তবে, প্রশাসন যদি এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়, তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পরিস্থিতি আরও মারাত্মক আকার নিতে পারে।