ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে টাকা নয়-ছয়ের অভিযোগ। দিনহাটা পৌরসভার চেয়ারম্যানকে শোকজ কলকাতা হাইকোর্টের। ‘সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে উন্নয়নের নামে টাকা নেওয়া বেআইনি’ বললেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। কোচবিহারের দিনহাটা পুরসভায় (Dinhata Corp) আবাস যোজনা প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া উপভোক্তাদের কাছ থেকে উন্নয়নের নামে ২০ হাজার টাকা করে নিয়েছে বা চাইছে পুরসভা। এই অভিযোগে এবার দিনহাটা পৌরসভার চেয়ারম্যানকে শোকজ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ।
অভিযোগ ওঠে, কোচবিহারের দিনহাটা পুরসভায় আবাস যোজনা প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া উপভোক্তাদের কাছ থেকে উন্নয়নের নামে ২০ হাজার টাকা করে নিয়েছে বা চাইছে পুরসভা (Dinhata Corp)। যারা সেই টাকা দিতে পারেননি, তাঁদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে তালিকা থেকে। আবার যাঁরা টাকা দিয়েছেন, তিন বছরেও কাজ না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে সেটাও দেওয়া হয়নি বলে দাবি করে জনস্বার্থ মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে।
আরও পড়ুন: Nawsad Siddique: ‘শুধু ৫টা ৫০-এ এক গ্লাস পানি দেবেন’ পুলিশের সঙ্গে ফের বচসায় জড়ালেন নওসাদ
দিনহাটা পৌরসভার চেয়ারম্যানকে শোকজ (Dinhata Corp)
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন মেনে এই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এই প্রকল্পের সুবিধা যারা প্রাণ তাঁরা প্রত্যেকেই দরিদ্র। পুরসভাকে টাকা দিতে না পারার জন্য যদি তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হয় তাহলে সেই প্রকল্পে প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে। ২০২২ সালের অডিটে অ্যাকাউন্টেন্ট জেনারেল বলেছেন, পুরসভার ওই টাকা চাওয়া সম্পূর্ণ বেআইনি। এইভাবে ৪৩৯.৪২ লক্ষ টাকার জমা রেখেছে পুরসভা।’ (Dinhata Corp) তার উত্তরে আদালতে পুরসভা দাবি করে, ‘বেশিরভাগ পুরসভার তহবিলে টাকা নেই। তাই এলাকার রাস্তা তৈরি খাল কাটা সহ অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ওই টাকা চাওয়া হয়েছে।’
সেই শুনে প্রধান বিচারপতি পাল্টা বলেন, ‘অডিট রিপোর্টে পরিষ্কার উল্লেখ করা হয়েছে যে এইভাবে টাকা তোলা সম্পূর্ণ বেআইনি। পুরসভা (Dinhata Corp) ও চেয়ারম্যানকে শোকজ করছি। কেন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? কেন চেয়ারম্যানকে তাঁর পদ থেকে সরানো হবে না? আদালতে তার জবাব দিতে হবে।’ কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবীও আদালতে প্রশ্ন তোলেন যে, আবাস যোজনা প্রকল্পের টাকা কীভাবে রাস্তা তৈরির উন্নয়ন খাতে পরিবর্তন করা সম্ভব?
এদিন শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, ‘পুরসভাকে টাকা দিতে না পারার জন্য ১৮৭ জনের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। একজন তপশিলি জাতির মানুষও এই সুবিধা পাননি। কাজ হয়নি। অথচ, ২০২২ সালের অডিট রিপোর্টে উল্লেখিত পুরসভার সংগ্ৰহ করা ৪৩৯.৪২ লক্ষ টাকা তিন বছরেও ফেরত দেওয়া হয়নি।’